কার্ড পেয়েও ভোগান্তি, অনেকেই বঞ্চিত

কার্ড পেয়েও ভোগান্তি, 
অনেকেই বঞ্চিত

সাশ্রয়ী, তবে কর্মসময় নষ্ট

বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার যখন সরকার নির্ধারিত ১৬৮ টাকা, তখন টিসিবি একই তেল বিক্রি করছে ১১০ টাকায়। একই ভাবে বড় ছাড় পাওয়া যাচ্ছে চিনি ও ডালেও। সব মিলিয়ে এক দফা পণ্য নিতে পারলে মানুষের সাশ্রয় হয় অন্তত ২৩০ টাকা।

অবশ্য লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই গতকাল বলেছেন, কার্ড পেয়েও পণ্য নিতে চার-পাঁচ ঘণ্টা লেগে যাওয়ায় তাঁদের কর্মসময় নষ্ট হয়। দেখা যাচ্ছে, সেখানে কিছু টাকা বাঁচাতে গিয়ে দিনের পুরো আয় থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।

জামালপুর পৌরসভার পাথালিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় টিসিবির একটি ট্রাকের পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন অটোরিকশাচালক মো. সিদ্দিক। সকাল সাড়ে নয়টায় দাঁড়িয়ে এক ঘণ্টা পর ট্রাকের কাছে পৌঁছালে কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানায়, সেখানে তাঁর নাম নেই। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্যাররে (ট্রাকে দায়িত্বরত ব্যক্তি) কাগজ দিলাম। দেইখা কইল, পশ্চিমপাড়া যাও গা। দৌড়ায় আইলাম পশ্চিমপাড়া। সেখান থাইকা কইতাছে যাও গা ছাতার মোড়ে। আবার ছাতার মোড় গেলাম। ছাতার মোড় থেকে আবার পশ্চিমপাড়া আইলাম। এই যে চার-পাঁচবার পাকটা পাড়লাম (দৌড়াদৌড়ি), এইডা কোনো হইল। দিনটাই তো কামাই (মাটি) হইল।’

এদিকে কেউ কেউ বলছেন, একই কার্ডে তাঁরা যদি কম দামে চাল পেতেন, তাহলে তাঁদের কষ্ট কমত। খুলনা নগরের শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে টিসিবির পণ্য কিনে ফেরার সময় আজিমুন্নেসা নামের এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ‘এত কষ্ট কইরে যেসব মাল পালাম, তাতে ভালো হুয়েছে; তবে সঙ্গে কডা চাল দিলি খাইয়ে বাঁচতাম।’

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট জেলার প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি]

Explore More Districts