গত সপ্তাহের টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে বেড়েছে কিছুটা পানির পরিমাণ। এতে দেশের একমাত্র কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি মাত্র ইউনিট চালু থাকলেও বর্তমানে হ্রদে পানি বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট চালু করে উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি মাত্র ইউনিট দিয়ে মাত্র ২৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় উৎপাদনের পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে ৩০-৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে দুটি ইউনিট চালুর মাধ্যমে মোট ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত নিয়মিত হলে ধীরে ধীরে বাকি ইউনিটগুলো চালুর মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে বলে কেন্দ্রসূত্রে জানা গেছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি উপর নির্ভরশীল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত ১ মাস পূর্বেও পানি সংকটে উৎপাদন সর্বনিম্ম পর্যায়ে চলে এসেছিলো।
এতে কেন্দ্রটির ১ নম্বর ইউনিটে দৈনিক ২৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল।
এই বিষয়ে আরও
তবে গত সপ্তাহের কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে হ্রদে পানির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। যার ফলে বর্তমানে ১নং এবং ২নং ইউনিট দিয়ে দৈনিক ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি এইভাবে যদি বৃষ্টিপাত নিয়মিত চলমান থাকে এবং হ্রদের পানি বাড়ে তবে আরো ইউনিট চালু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
এদিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী (২৪ জুন) শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রুলকার্ভ অনুয়ায়ী কাপ্তাই হ্রদে পানি থাকার কথা ৮২ দশমিক ১১ এমএসএল। কিন্তু বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ রয়েছে ৭৫ দশমিক ৩২ এমএসএল।
প্রসঙ্গত, দেশের সবচেয়ে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি ৫ টি ইউনিটের মাধ্যমে ২৪০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।