রাঙামাটির কাপ্তাই ঢাকাইয়া কলোনির বাসিন্দা আবুল বশর। নিত্য পণ্যের বাজারে ভোগ্য পণ্যের দাম দিন দিন বেড়ে হওয়ায় দিনমজুর আবুল বশরের পক্ষে সংসারের সব প্রয়োজনীয় উপকরণ বিশেষ করে ভোগ্যপণ্য কেনা সম্ভব না। তাই তাঁকে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্যের উপর জোড় দিতে হয়।
আজ শনিবার (২২ জুলাই) সকালে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে আবুল বশর, নেজাম উদ্দিন, ফরহাদ, শিখা রানী দাশ সহ অনেকের সাথে কথা হয়। তাঁরা সকলে টিসিবির পণ্য কিনতে এসেছেন। নিন্ম ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য তাঁরা জানান, স্বল্প হলেও মাসে একবার বা দুইবার সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে পেরে আমরা খুশী। এতে টানাপোড়েনের সংসারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এদিন কাপ্তাই উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়নের কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৫নং ও ৬নং ওয়ার্ডের ১ হাজার ১শত ৩৯ জন অসহায় ও দুস্থ টিসিবির কার্ডধারীদের মাঝে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সরবরাহকৃত টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হয়।
এই বিষয়ে আরও
কাপ্তাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, সর্বমোট ৪ শত ৭০ টাকা মূল্যে প্রতিজন টিসিবির কার্ডধারীকে ২ শত টাকার বিনিময়ে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১ শত ২০ টাকার বিনিময়ে ২ কেজি মশুর ডাল এবং ১ শত ৫০ টাকার বিনিময়ে ৫ কেজি চাল বিক্রি করা হয়।
এদিকে একইদিন উপজেলাধীন ৩নং চিৎমরম ইউনিয়নের ব্যাঙছড়ি যাত্রীছাউনীতে ৬ শত ৫০ জন অসহায় ও দুস্থ কার্ডধারীদের মাঝে টিসিবির পণ্য তুলে দেওয়া হয়।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে জানান, প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়ে দেশের স্বল্প আয়ের ১ কোটি মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম চলমান আছে।