কাতার যাওয়ার আগে যা বললেন ফেনীর সাইফউদ্দিন

ঢাকা অফিস->>

পিঠের চোট লম্বা সময় ধরে ভোগাচ্ছে অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে। এই চোট তার পারফর্মেন্সেও প্রভাব ফেলেছে। সাইফউদ্দিনের চোট নিরসনে এবার এগিয়ে এসেছে  বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। উন্নত চিকিৎসায় এই অলরাউন্ডারকে গতকাল কাতার পাঠিয়েছে তারা। দেশ ছাড়ার আগে বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাইফউদ্দিন। 

২০২২ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন সাইফউদ্দিন। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের গত আসরে  আবাহনীর হয়ে ১২ ম্যাচ খেলেন তিনি। সেখানে বল হাতে শিকার ১৯ উইকেট আর ব্যাট হাতে করেন ১১২ রান। প্রিমিয়ার লীগের পর পুরোনো ইনজুরি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এবার তাকে চিকিৎসার জন্য তাকে কাতার পাঠালো বিসিবি।

শুধু সাইফউদ্দিন নয়, তার সঙ্গে পেসার অভিষেক দাস ও আশিকুর জামানও কাতার গেছেন একই কারণে।

দেশ ছাড়ার আগে গণমাধ্যমকে সাইফউদ্দিন বলেন,‘বিসিবি চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী বেড রেস্টে ছিলাম।

আরও আগে যাওয়ার কথা ছিল। তবে কিছু প্রসেসের কারণে হয়তো… আমার সাথে আমাদের আরও দুজন পেসার অভিষেক দাস ও আশিকুর জামান যাচ্ছে। এজন্য আজকে যাওয়া। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ্। এক্সাইটেড।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমত ধন্যবাদ দিতে হয় বিসিবিকে। আসলে আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য। ২০১০ সাল থেকে আমার ওপর ইনভেস্ট করে আসছে। ইনশাআল্লাহ্ এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু বোর্ড আমার পাশে আছে। আর প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্য বোর্ড পাশে থাকলে কাজটা অনেক সহজ হয়। এইজন্য নিজেকে অনুপ্রাণিত করছি।’

কাতারে যাওয়া তিন ক্রিকেটারের চিকিৎসা হবে দেশটির ‘এসপেটার’ নামের এক স্পোর্টস মেডিসিন হাসপাতালে। এ সম্পর্কে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘ওখানে স্পোর্টস মেডিসিন সেন্টার আছে। কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে স্পোর্টস মেডিসিনের দিক থেকে। ইউটিউবে ওদের বিভিন্ন কার্যক্রম দেখেছি। অনেক আশাবাদী। বাকিটা আল্লাহ্ ভরসা।’

২০১৯ ও ২০২১, টানা দুই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের অংশ ছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হয়নি তার, নেই আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের আলোচনাতেও। বিশ্বকাপের দলে না থাকায় খারাপ লাগছে বলে জানান তিনি।

সাইফউদ্দিন বলেন, ‘অবশ্যই! খারাপ কেন লাগবে না। এখানে আমাদের সব কলিগ, বন্ধুবান্ধব, ছোট ভাই সবাই ক্যাম্প করছে, ফিটনেস টেস্ট দিচ্ছে, আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে এগুলো দেখছি। খারাপ তো অবশ্যই লাগবে। মাঠের খেলোয়াড় কিন্তু মাঠে আসতে পারছি না। তবু এখানে এলে ওদের সঙ্গে গল্প, আড্ডা এসব করে সময়টা পার করি। যখন আবার সুস্থ হবো, তখন আবার ওদের একটা অংশ হবো।’

Explore More Districts