নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চকবাজার থেকে কৈলাটি ইউনিয়নের সিধলী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় লোকজন সহ পথচারীদের।
আজ শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির জন্য খুবই নাজুক অবস্থায় আছে স্থানীয় লোকজন ও পথচারী। পায়ে হেঁটে চলাচলও দুঃষ্কর হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি দিয়ে চলছে না কোন যানবাহন। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য পরিবহন ব্যবস্থা কার্যত অচলাবস্থার জন্য তিনগুণ অর্থ অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে রয়েছে, দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফাঁড়ি থানা, হাট বাজার, মাদ্রাসা-মসজিদে যাতায়াতের বেলায় কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ এলাকার শতশত নারী পুরুষ, দিনমজুর, চাকুরীজীবীসহ বিভিন্ন পেশার জনগণ এই কাঁচা রাস্তার কাঁদা পানিতে চরম দূর্ভোগের স্বীকার হয়ে পথ চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি সংস্কারে পদক্ষেপ নেবেন এটাই এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী।স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পায়ে হেঁটে চলা খুবই কষ্টকর। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু সমান কাঁদা নিয়ে এভাবেই চলতে হচ্ছে আমাদের। প্রতিবছর বর্ষার সময় এই কাঁচা রাস্তাটির কাঁদায় সয়লাব হয়ে যায়। রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ৯ গ্রামের মানুষ ও পথচারী দুর্ভোগ গেলেই রয়েছে। জুতা হাতে পানি-কাঁদা মাখা শরীরে চলেন শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি শুধু আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি। রাস্তাটির উন্নয়নে কেউ কথা রাখেনি। এমনকি গ্রামের কোন মানুষ গুরুতর অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যাওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি।
এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার বলেন, রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী বিষয়টি নিয়ে তদারকি চলছে। অতি শীঘ্রই এই রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ আফসার উদ্দিন জানান, রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের জন্য অতি শীঘ্রই রাস্তার মাপ ও ইস্টিমিট পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলেই রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।