ইট পাথরের শহরের ব্যস্ততার ক্লান্তি ভুলিয়ে রাখতে ভ্রমনপিপাসুদের আকর্ষণ পড়ে থাকে সবুজ পাহাড়, স্বচ্ছ জলরাশির কাপ্তাই হ্রদের শহর রাঙামাটি। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটক বেড়াতে আসেন প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্য্যের অন্যতম পর্যটন এই শহরে। পর্যটকদের পদভারে মুখরিত থাকে পাহাড়ী জেলা রাঙামাটির নয়নাভিরাম সবকটি পর্যটন স্পট কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন। ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে শেষ সময়ে এসে হোটেল-রিসোর্ট ও পর্যটন স্পটগুলো প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও আগামী বুকিং কম হওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হোটেল-রিসোর্টের মালিক ও পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা।
হোটেল-রিসোর্টের মালিক ও পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, অর্থনৈতিক মন্দা, তীব্র দাবদাহ, কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়া, এসএসসি পরীক্ষাসহ নানা কারণে এবার বুকিং কমেছে। গত বছর যেখানে ৭০-৮০ শতাংশ আগাম বুকিং ছিল, সেখানে ৩৫-৪০ শতাংশ আগাম বুকিং হওয়ায় তাঁরা হতাশ। ঈদের আগে পরে যদি পর্যটক না আসে তাহলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে বলে তারা মনে করেন।
পাহাড়ী জেলা রাঙামাটির পর্যটন স্পটের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদ, সুবলং ঝর্ণা, পর্যটন ঝুলন্ত ব্রীজ, পুলিশ পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো পার্ক, আরণ্যক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক, ভার্গি লেক, রাজ বনবিহার, কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, ফুরমোন পাহাড়, কাপ্তাই পড হাউস, মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতিসৌধ, বিলাইছড়ির নীলাদ্রি রিসোর্ট, সাজেক ভ্যালীসহ স্থানীয় হস্তশিল্প মার্কেটে পর্যটকেরা ঘুরে বেড়ান এবং পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি কালচার, জীবনযাপন উপভোগ করেন। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদের তীরে তাবু এবং বিভিন্ন বোট হাউসে রাত্রিযাপন ও ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন আগত পর্যটকরা।
এই বিষয়ে আরও
হোটেল ড্রিম ওয়ের স্বত্তাধিকারী ও আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, ঈদের পরপরই আশানুরুপ পর্যটক আশা করছি। রমজান মাসে আমাদের হোটেলসহ সব হোটেল, রিসোর্টই ফাঁকা পড়ে ছিল। আমরা ঈদের অপেক্ষায় ছিলাম। এখনও পর্যন্ত আশানুরূপ বুকিং আসেনি তিনি জানান, ঈদ সামনে রেখে রাঙামাটির প্রতিটি হোটেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নতুন রং করা, সাজানো-গোছানোর কাজ সবাই সেরে ফেলেছেন।
পাহাড়ী পণ্য ব্যবসার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সুচয়না চাকমা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসার আশায় দোকানে পাহাড়ী বাহারী পন্যের মজুদ করেছি। যদি আশানুরুপ পর্যটক না আসে তাহলে ব্যবসায় লোকসান গুনতে হবে।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, পর্যটক বরণে আমাদের প্রস্তুতি শেষ। এখন বুকিং আশানুরুপ না হলেও ঈদের পরে পর্যটক বাড়তে পারে।