কম দামে জমি কেনার ফাঁদ? এই ১টি চিহ্ন দেখেই সতর্ক হন!

কম দামে জমি কেনার ফাঁদ? এই ১টি চিহ্ন দেখেই সতর্ক হন!

জমি কেনা আমাদের জীবনের অন্যতম বড় একটি সিদ্ধান্ত। কিন্তু কম দামে জমি কেনার প্রলোভন অনেক সময় মারাত্মক ফাঁদে পরিণত হতে পারে। অসাধু ব্যক্তিরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্রেতাদের ঠকিয়ে থাকে। জমি কেনার সময় একটি সাধারণ চিহ্ন দেখে আপনি বড় বিপদ থেকে বাঁচতে পারেন, আর সেই চিহ্নটি হলো দলিল ও পর্চায় তথ্যের গরমিল।

জমি কেনার ফাঁদজমি কেনার ফাঁদ

কেন এই চিহ্নটি বিপদজনক?

জমির মূল পরিচয় বহন করে এর দলিল ও পর্চা। যদি বিক্রেতা আপনাকে আকর্ষণীয় দামে জমি কেনার প্রস্তাব দেন, তবে প্রথমেই এই দুটি নথি যাচাই করুন।

দলিলের সঙ্গে পর্চার তথ্যের অমিল: বিক্রেতা যে জমি বিক্রি করতে চাইছেন, তার দলিলের তথ্যের সঙ্গে যদি পর্চার তথ্যের অমিল থাকে, তাহলে সেখানেই সতর্ক হতে হবে। অনেক সময় এক খণ্ড জমির দলিল দেখিয়ে অন্য খণ্ড জমি বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়।

মিথ্যা বা জাল তথ্য: অসাধু বিক্রেতারা প্রায়ই দলিল বা পর্চায় মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে। যেমন— জমির মালিকের নাম ভুল থাকা, জমির পরিমাণ ভুল থাকা, বা পুরোনো দলিলের ওপর নতুন তথ্য জুড়ে দেওয়া।

এই ধরনের গরমিল দেখা গেলে বুঝতে হবে, বিক্রেতার উদ্দেশ্য সৎ নয়। একটি সামান্য ভুল বা তথ্যের গরমিল ভবিষ্যতে মালিকানা নিয়ে বড় ধরনের আইনি জটিলতা তৈরি করতে পারে।

কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন?

আইনজীবীর পরামর্শ: জমি কেনার আগে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।

দলিল ও পর্চা যাচাই: জমির মূল দলিল এবং পর্চা ভূমি অফিস থেকে যাচাই করে নিন। এতে জাল কাগজপত্র থেকে আপনি রক্ষা পাবেন।

সীমানা যাচাই: কাগজপত্র দেখার পাশাপাশি জমির প্রকৃত সীমানা নিজে গিয়ে দেখে আসুন।

সমন্বিত লেনদেন চালু হলে অর্থ অপচয় ও ভোগান্তি কমবে : গভর্নর

কম দামের আকর্ষণ সাময়িক, কিন্তু জমির আইনি জটিলতা দীর্ঘস্থায়ী। তাই তাড়াহুড়ো না করে প্রতিটি ধাপ সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করুন।

Explore More Districts