কমেছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, অপেক্ষা রাজনৈতিক সরকারের ?

কমেছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, অপেক্ষা রাজনৈতিক সরকারের ?

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
গত সাত মাসে দেশের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে এবং বিনিয়োগ আকর্ষণে নানা উদ্যোগ নিলেও তার প্রকৃত প্রতিফল এখনো দৃশ্যমান নয়। এ সময় বিডায় নিবন্ধিত বিনিয়োগ প্রস্তাবের সংখ্যা যেমন নিম্নমুখী, তেমনি কমেছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নিট প্রবাহ।
বিনিয়োগ আকৃষ্টে ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন, স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা পেতে ইলন মাস্কের স্টারলিংকের নিবন্ধন, মহাকাশ অনুসন্ধানে নাসার সঙ্গে চুক্তি, সব বিনিয়োগ প্রচারণা সংস্থাকে একই ছাদের নিচে নিয়ে আসা— এমন নানান উদ্যোগ গ্রহণ সাড়া ফেললেও কাঙ্খিত সাড়া মেলেনি বিনিয়োগে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্টের (বিওপি) পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস জুলাই থেকে মার্চে এফডিআইয়ের নিট প্রবাহ ছিল ৮৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ১১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উইকলি সিলেকটেড ইকোনমিক ইন্ডিকেটরসের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস জুলাই থেকে মার্চে মূলধনি যন্ত্র আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি বা আমদানি বাবদ অর্থ পরিশোধ হয়েছে ১৫২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছিল ২১৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের। অর্থাৎ মূলধনি যন্ত্র আমদানি কমেছে ২৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা বলছেন, দেশে অবস্থান করা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগে ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশি এক বিনিয়োগকারীর প্রশ্নের জবাবে এক রাষ্ট্রদূত বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সরকারের অপেক্ষায় রয়েছেন। এ ছাড়া বিনিয়োগ আকর্ষণ নির্ভর করে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে তার ওপর। বাংলাদেশের স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাই বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, এ পরিস্থিতিতে বিদেশিরা কীভাবে বিনিয়োগ করবেন?
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সরকারের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের মতে, দেশে ব্যাংকঋণের সুদহার এখন ১৫ শতাংশের বেশি। এত বেশি সুদের হার দিয়ে এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে না কেউ। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের তুলনায় আমাদের এখানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন ব্যয়ও অনেক বেশি। রয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও। এমন অবস্থায় বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়া সহজ হবে না।
সূত্র: (দৈনিক বণিক বার্তা আলোকে)

Explore More Districts