
কন্ঠ রিপোর্ট।
ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই দফায় হামলা চালিয়ে দুই নারীসহ চারজনকে বেদমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ও শনিবার বিকেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল।
থানায় অভিযোগ ও ভুক্তভোগীরা জানান, শহরের কমলাপুর বালুর মাঠ সংলগ্ন এলাকার জনৈক নাসিরউদ্দিন প্রিন্স এর সাথে প্রতিবেশী নাসির খানের সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৩ জুন দুপুরে নাসির খান গং জোরপূর্বক নাসিরউদ্দিন প্রিন্সের জায়গা দখলের জন্য খুঁটি পুততে গেলে বাঁধা প্রদান করা হয়। এরই এক পর্যায়ে নাসির খানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষ আক্তারী বেগম ও সুমাইয়া আক্তারীকে বেদমভাবে প্রহার করে। এসময় নাসিরউদ্দিন প্রিন্সের ১২ বছর বয়সী ছেলে সামিউল ইসলাম হামলাকারীদের বাঁধা দিলে তাকেও বেদমভাবে মারপিট করা হয়। হামলাকারীদের আঘাতে আক্তারী বেগম ও সুমাইয়া আক্তারীর চোখ, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় নাসিরউদ্দিন প্রিন্স প্রতিপক্ষ নাসির খানসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের পর হামলাকারীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন। মামলা তুলে না নেওয়ায় ৪ জুন বিকেলে নাসিরউদ্দিনের ভাগনে সাজিদ খান ইফাজকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে বেদমভাবে মারপিট করা হয়। ইফাজকে রাস্তায় ফেলে চলে যাবার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় নাসিরউদ্দিন প্রিন্স ও তার পরিবারের সদস্যরা ফের হামলার ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসেনর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এ বিষয়ে নাসির খানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। কোতয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল জানান, এ বিষয়ে দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীদের আটকের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।