কমলনগরে জেলেদের দেড় মে.টন চালে পচন

কমলনগরে জেলেদের দেড় মে.টন চালে পচন

কমলনগরে জেলেদের দেড় মে.টন চালে পচন

সংবাদদাতা ।  লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মানুষের জীবিকার তাগিদের প্রধান খাদ্য ‘চাল’ অখাদ্যে পরিণত হয়েছে।  দরিদ্র ও জেলে মানুষের চালের গুণগত মান বিক্রিত হয়ে পড়ে দুর্গন্ধ ও খাবার অনুপযোগী।  এ দায় কার? এমন প্রশ্ন জনমনে। পচে যাওয়া চাল এখনও ভালো রয়েছে  বলে দাবি সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. শকিলের।

স্থানীয়রা জানান, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ভিজিডি ও জেলেদের পুনর্বাসনের চাল  (ভিজিএফ) প্রায় ৪০ থেকে ৫০  বস্তা প্রায় দেড় মে.টন চালে পচে  দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।  ফলে উপকার ভোগীরা চাল গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পঁচা ও খাবার অনুপযোগী চাল নভেম্বর মাসের ভিজিডি নতুন চালে সাথে মিশিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে।

এটা নিয়েও পরিষদের পক্ষ-বিপক্ষের লোকের মধ্যে চলছে তুলকান্ড। ভুক্তভোগীরা জানান, খাদ্যগুদাম থেকে ভালো চাল রিসিভ করে আমাদের পচা চাল দিচ্ছে। তারা প্রতিটি সুফল ভোগীর বিভিন্ন খুঁটিনাটি ভুল ধরে।  এলাকার সহজ সরল মানুষ সঠিক উত্তর না দিতে পারলে  এ চাল রাতে তারা বিভিন্ন ভাবে মিলে মিশে  ভাগভাটোয়ারা করে নেয়। চালে যখন পোকাসহ খাবার অনুপযোগী তখন সুফল ভোগীদের নামে ফোন করে। এ চালতো এখন কেউ নিবে না।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে  বলেন, এ দায় প্রশাসকসহ তার আশপাশের লোকের। সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক ও উপজেলা আইসিটি অফিসার মো. শাকিল জানান,  জেলে ও ভিজিডির প্রকৃত কার্ডধারীদের না পেয়ে চালগুলো পরিষদে জমা। চালের গুণগত মান কিছুটা নষ্ট হয়েছে। কেউ না নিলে আমরা প্রসেসিং করে খাদ্যগুদামে জমা দিবো।

Explore More Districts