২০১৮ সালে প্রকাশিত লন্ডনের কিংস কলেজের একটি গবেষণায় দেখা যায়, যেসব কিশোর–কিশোরী অবহেলা, কটূক্তি, পারিবারিক সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি থাকে। আমাদের দেশে পরীক্ষায় খারাপ করা শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিভাবক, শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, এমনকি ‘সফল’ সহপাঠী বন্ধুবান্ধবের নীরব-সরব অবহেলা, কটূক্তি, সহিংসতা ও নিপীড়নের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়।
তবে কৈশোর বয়সে এমন সব সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তাদের আত্মহত্যার প্রবণতাও বন্ধ করা যেতে পারে। উল্লেখিত গবেষণায় সে কথাও বলা হয়েছে।
অনেক সংবেদনশীল অভিভাবক, শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে তাঁরাও বেশ চিন্তিত, উদ্বিগ্ন। আত্মহত্যা ঘটে যাওয়ার পর অনেক কথা হয়, কিন্তু আগে বিষয়টি আঁচ করে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা কেউ ভাবে না।