এনজিও কর্মী হত্যার সাজাভোগ শেষে ভাই হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

এনজিও কর্মী হত্যার সাজাভোগ শেষে ভাই হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

৩০ January ২০২৫ Thursday ১২:২৩:৪৫ PM

Print this E-mail this


কাঠালিয়া ((ঝালকাঠি) প্রতিনিধি:

এনজিও কর্মী হত্যার সাজাভোগ শেষে ভাই হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা চিংড়াখালী গ্রামে আপন ভাই ফিরোজ হাওলাদারকে হত্যার দায়ে রুহুল আমিনকে (৫০) মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

রুহুল আমিন ওই গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। 

ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। 

মামলার তথ্যমতে ইতোপূর্বে এনজিও কর্মীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল রুহুল আমিনের। ভাইকে হত্যার ৯ মাস আগে সাজাভোগ শেষ করে গ্রামের বাড়িতে আসেন রুহুল আমিন। এসেই ভাই-বোনদের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে মতবিরোধ হয়। গত ২৩/৯/২০২২ তারিখ তার ভাই ফিরোজ হাওলাদার ঘরের টিন খুলতে গেলে রুহুল আমিন বাধা দেন। একই দিন সন্ধ্যায় ফিরোজ হাওলাদার বসত বাড়ির সামনে বসা অবস্থায় রুহুল আমিন এসে এলোপাতাড়ি ফিরোজকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। ফিরোজকে উদ্ধার করে কাঠালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে  থেকে বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে একই দিন রাত ১১টায় ফিরোজ হাওলাদারের মৃত্যু হয়।  

এ ঘটনায় ফিরোজ হাওলাদারের স্ত্রী রানী বেগম বাদী হয়ে কাঠালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আসামি রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতে সোপর্দ করে।  

এই মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাইউম বাহাদুর ২০/০১/২০২৪ তারিখ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ১২জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে এ রায় ঘোষণা করেন।  
সরকার পক্ষে পিপি মাহেব হোসেন ও আসামি পক্ষে খান শহিদুল ইসলাম মামলা পরিচালনা করেন।  

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts