সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় অভিনীত বাবু সোনা ছবিটি। আগামীতে দর্শকরা তাকে দেখতে পাবেন দেবী চৌধুরানী হিসেবে। তবুও সিনেমা মুক্তির আগে আবারও চর্চায় অভিনেত্রীর ব্যক্তিজীবন। বিষয়গুলো নিয়ে সম্প্রতি আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছিলেন শ্রাবন্তী।
যেখানে তিনি বলেন, সমাজের চোখ রাঙানিকে একেবারেই ভয় পান না। ৩ টা না ৪টা বিয়ে করেছেন, তা নিয়ে সমাজ কি ভাবলো সেসবেও মাথা ঘামান না।
শ্রাবন্তীর কথায়, ‘নানা ঝামেলার মধ্যে নিজেকে শক্ত করে রাখতে হয়েছে। আমি মনে করি জীবন একটাই আর আমার জীবন, আমিই বাঁচব। আমার বিল কেউ ভরে দেবে না, বাড়ি-গাড়ির মাসিক কিস্তি কেউ ব্যাংকে গিয়ে দিয়ে আসবে না। আমার ছেলেকেও কেউ মানুষ করবে না। আমিই করব এগুলো। তার পাশাপাশি আমাকেও ভাল থাকতে হবে। ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, মা-বাবাকেও ধন্যবাদ যে আমি এ রকম একটা জীবন পেয়েছি। মা-বাবা যত দিন রয়েছেন তাদের সান্নিধ্যে রয়েছি। দর্শকের জন্য আরও ভাল কাজ করতে চাই, এটুকুই। বাকি কে কী বলল, আমার কিছু এসে-যায় না।’
এসবের মাঝে ক্লান্ত লাগে না? এমন প্রশ্নে শ্রাবন্তী জানালেন, মাঝে মধ্যে তিনি ভেঙে পড়েন। কিন্তু সেটা কেবলই তার কাছের মানুষদের কাছেই। আবার সামলেও নেন।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘ভেঙে পড়েও নিজেকে বোঝাই নিজেকে শক্ত থাকতে হবে। উঠে দাঁড়াতে হবে। মা বাবা আছেন। সবটা চালাবো কী করে নইলে? আমার পরিবারের তো আমিই খুঁটি।’
অল্প বয়সে মা হয়েছেন শ্রাবন্তী। মা হওয়ার পর অভিনয়ও চালিয়ে গেছেন। ছেলে এখন বড় হয়েছে। মা-ছেলের মধ্যে বোঝাপড়াটাও বেশ দারুণ।
শ্রাবন্তীর কথায়, “আমি তো ভাগ্যবান যে অল্প বয়সে মা হয়েছি। আমার ছেলের সঙ্গেই আমি বড় হয়েছি। ১৬ বছর বয়সে মা হয়েছি। তখন দশম থেকে একাদশ শ্রেণি। আজ আমার ছেলে আর আমি বন্ধু, ভাইবোনের মত। এখন ও আমার অভিভাবক। আমি ওকে ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ নাম দিয়েছি। এত শাসন করে আমাকে! আমাকে বলে, ‘তোমার মধ্যে কোনও দিন পরিণতিবোধ আসবে না! শিশুই থেকে যাবে! আমি বলি, আমার এ রকমই ভাল লাগে।”
একাধিকবার বিচ্ছেদের পরে আপাতত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই বলেন জানালেন শ্রাবন্তী। তিনি জানান, বর্তমানে বিয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই। ভবিষ্যতে করবেন কিনা সেটাও ঠিক নেই। আপাতত সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই জীবন উপভোগ করছেন।
তবে প্রেমের প্রসঙ্গে শ্রাবন্তী বলেন, ‘সব সময়য় প্রেমে তো থাকি। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ভবিষ্যৎ ভাবতে শুরু করে দেয় সকলে। সব কিছুতে আমার একটু সময় লাগে। প্রত্যেকের বাঁচার অধিকার রয়েছে। সে কিসে ভালো থাকবে, সেটা তো তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা না, তিন-চারটা বিয়ে, সমাজের কত চোখরাঙানি! আমার কিছু যায়-আসে না’।