একজন ‘বোকা মিয়ার’ শিক্ষকতা, রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চা

একজন ‘বোকা মিয়ার’ শিক্ষকতা, রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চা

ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ানোর সময় তার এক সহকর্মীর মাধ্যমে বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। এই সময়ে ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন। ইস্ট বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র ‘ দি টিচার’ সম্পাদনা করতেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে নিবিড় সম্পৃক্ততার সুবাদে একসময় শিক্ষকতা ছেড়ে পূর্ণকালীন রাজনীতিবিদ পরিণত হন। তাঁর শিক্ষকতা জীবন ছিল সরল-গরল অভিজ্ঞতায় ভরপুর। পাঠ্যবই বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের অতিমাত্রায় ‘মেইড ইজি’ পড়ার প্রবণতাকে ব্যঙ্গ করে তিনি লিখেন ‘মেইড ভেরি ইজি’ নামে একটা রম্য পুস্তিকা।

১৯৫৪-১৯৫৭ পর্যন্ত সময়ে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বাঁশখালী আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বাঁশখালীর সাথে চট্টগ্রাম শহরের যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনন্য। দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিক্ষা প্রসারে তিনি সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। চট্টগ্রামের বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ, সাতকানিয়া কলেজ, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ, সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন হাই স্কুল, পশ্চিম বাঁশখালী হাই স্কুল ও বাহারছড়া রত্নপুর হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

রাজনীতিক হিসেবে আসহাব উদ্দীন ছিলেন গণমানুষের নেতা। চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। বাঁশখালীতে মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে মাওলানা ভাসানীর সাথে আওয়ামী লীগ ছেড়ে ন্যাপে যোগদান করেন। কৃষকদের দুর্দশা দূর করার জন্য আজীবন লড়ে গেছেন আসহাব উদ্দীন। মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে কৃষকদের সংগঠিত করেন তিনি।

Explore More Districts