আপডেটঃ 2:59 pm | February 11, 2022
পুরো নাম সাদেক খান মিল্কি টজু । আমার দেখা অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার মানুষ গুলির মধ্যে একজন। মানুষ ও মানবিকতাই যার কাছে বড়। মুজিব আদর্শের একজন অকুতোভয় সৈনিক।তার প্রমাণ পেয়েছি এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ময়মনসিংহের রাজপথে। তিনি যখন ময়মনসিংহ শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন তখন একজন দক্ষ সংগঠক হিসাবে ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একটি লড়াকু সংগঠনে গড়ে তোলে ছিলেন । দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রতি তার ছিল অপরিসীম ভালোবাসা। একজন কর্মীর মূল্যায়ন করতে গিয়ে রাজনীতির গ্রুপিংয়ের হীনমন্যতার ঊর্ধ্বে উঠে তিনি তা করেছেন প্রমাণ আমি। শহর আওয়ামীলীগের কমিটিতে আমাকে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে অনেকের বিরোধিতা সত্ত্বেও আমাকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের গ্রুপে আমি তখন উনাদের সাথে ছিলাম না, ছিলাম বর্তমান মেয়র টিটুর সাথে কিন্তু তারপরেও ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটিতে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ প্রদান করেছিলেন যা বর্তমানে সচরাচর ঘটে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় চলমান ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের যখন কমিটি হয় তখন আমার বিরুদ্ধে আমি টিটূর সমর্থক বলে এই অভিযোগ তোলে আমাকে কমিটিতে নেয়া হয়নি । কিন্তু যারা মেয়র টিটুর সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করে আমাকে বাদ দিয়ে ছিল তারাই এখন ব্যক্তি স্বার্থ সিদ্ধির জন্য টিটুর খুব কাছের লোক বলে চিহ্নিত হতে চেষ্টা করছে, সাদেক খান মিল্কি টজুর মাঝে এ ধরনের দ্বিচারিতা কোনদিন লক্ষ্য করিনি। সে ছিল ময়মনসিংহ শহর আওয়ামীলীগের আমার দেখা নেতৃবৃন্দের মধ্যে সফল একজন নেতা। যার কাছে কর্মীদের ব্যক্তি আনুগত্য নয় সাংগঠনিক দক্ষতা ও দলীয় আনুগত্য প্রধান বিবেচ্য বিষয় ছিল। অত্যন্ত সুদক্ষ ভাবে তিনি ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে একটি সফল মুজিব আদর্শের কমিটিতে পরিণত করেছিল। গত কয়েক বছরে ময়মনসিংহ মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিগত শহর আওয়ামী লীগের মত সাংগঠনিক দক্ষতা দেখাতে পারেনি বলে আমার মনে হয়। গত ১০ ই ফেব্রুয়ারি ছিল সাদেক খান মিল্কি টজুর জন্মদিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার জন্মদিনে অনেকেই অনেক কিছু লিখেছেন আমি শুধু বলব ময়মনসিংহ মহানগরে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ মুজিব আদর্শের সংগঠন আওয়ামী লীগকে গতিশীল ও যুগোপযোগী জন সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সাদেক খান মিল্কির মত একজন নেতার এই মুহূর্তে বিশেষ প্রয়োজন। তার ভালবাসার কাছে আমরা আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরা চির ঋণী। টজু মিল্কির জন্মদিনে তার মঙ্গল কামনায় স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি।