| ২০ November ২০২৫ Thursday ১১:০৭:২৪ PM | |
সুমন দেবনাথ, বানারীপাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী(নেছারাবাদ) উপজেলার অন্তর্গত সন্ধ্যা নদীতে ‘মিনি কুয়াকাটা’ নামের একটি বহুল প্রত্যাশিত বিনোদন কেন্দ্র ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হতে আছে এবং এটি স্থানীয়দের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে। এই প্রকল্পটি সন্ধ্যা নদীর তীরকে আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং পর্যটকদের জন্য একটি নতুন আকর্ষণের কেন্দ্র হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
স্বরূপকাঠি ফেরিঘাট সংলগ্ন ‘মিনি কুয়াকাটা’ আসলে একটি পর্যটন আকর্ষণ, যা মূলত নদীর তীর এবং একটি ফেরিঘাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে, যেখানে স্থানীয়রা এবং দর্শনার্থীরা অবসর যাপন করেন। এটি কোনো আনুষ্ঠানিক পর্যটন কেন্দ্র নয়, বরং একটি প্রাকৃতিক স্থান যা সম্প্রতি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সন্ধ্যায় নদীর পাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, বিশেষ করে সূর্যাস্ত, কুয়াকাটার সূর্যাস্তের কথা মনে করিয়ে দেয়, তাই স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছে ‘মিনি কুয়াকাটা’। সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য এটি একটি জনপ্রিয় স্থান। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নদীর তীরবর্তী মনোমুগ্ধকর পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
এর মূল আকর্ষণ হলো নদীর মনোরম দৃশ্য, যেখানে মানুষ নৌকায় ঘোরাঘুরি করতে, ছবি তুলতে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটাতে পারে। নদী তীরবর্ত্তী এই স্থানটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নতুন রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য সুবিধা তৈরির কাজ সমাপ্তির পথে বলে জানা যায়, তবে নদীর সৌন্দর্য যেন নষ্ট না হয় সেদিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
এই অঞ্চলটি দেশের অন্যতম বৃহৎ ভাসমান কাঠের বাজার, যেখানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কাঠ ব্যবসায়ীরা আসেন। এছাড়া, স্বরূপকাঠিতে ভাসমান পেয়ারার হাট এর জন্যও বিখ্যাত, যা এই এলাকাটিকে একটি অনন্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরেছে।
এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ কুয়াকাটার মতোই বলে স্থানীয়রা একে ‘মিনি কুয়াকাটা’ নাম দিয়েছেন। প্রকল্পটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে, এবং এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পটি সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা তৈরি করেছে, স্থানটি মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিশেষ করে ভিডিও এবং ছবির মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছে।
মিনি কুয়াকাটা’ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের একক সম্পত্তি নয়। এটি স্বরূপকাঠির সন্ধ্যা নদীর তীরে অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে স্থানীয়দের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব মূলত স্থানীয় প্রশাসন এবং স্থানীয় মানুষদের উপর নির্ভরশীল।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
| শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |


