আবুধাবি, ৩০ মে – আগামী ৬ জুন সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এদিন শুক্রবার পড়বে। আর শুক্রবার হওয়ায় আমিরাতের অনেক মুসলিম প্রশ্ন করছেন যেহেতু এদিন ঈদের নামাজ পড়া হবে তাহলে কী জুমাও পড়তে হবে? নাকি ওইদিন যোহর নামাজ পড়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হওয়ায় আমিরাতে ফতোয়া কাউন্সিল একটি বিবৃতি দিয়েছে। সংস্থাটি স্পষ্ট করে বলেছে শুক্রবার ঈদের নামাজ ও জুমার নামাজ সুন্নাহ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে পড়তে হবে।
আমিরা ফতোয়া কাউন্সিল তাদের বিবৃতিতে স্বীকার করেছে, শুক্রবার ঈদ ও জুমার নামাজ পড়ার বিষয়টি ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে পুরোনো ‘আলোচনার’ বিষয়। তবে ইসলামিক ব্যক্তিত্ব, মালিকি স্কুল, ইমাম আবু হানিফা, ইমাম আল-শাফি এবং ইমাম আহমেদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, শুক্রবার ঈদ হলে ঈদের নামাজ ও জুমার নামাজ নির্দিষ্ট সময় ও আলাদাভাবে পড়তে হবে।
ফতোয়া কাউন্সিল আরও বলেছে, জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি বাধ্যবাধকতা। কোনো বৈধ কারণ ছাড়া জুমার নামাজ না পড়ে থাকা যাবে না। যেখানে জুমার নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক বিষয় সেখানে ঈদের নামাজ একটি সুন্নত অথবা সম্মিলিত বাধ্যবাধকতা।
সংস্থাটি আরও বলেছে, অনেক ইসলামিক ব্যক্তিত্ব মত দিয়েছেন শুক্রবার ঈদের নামাজ পড়লে ওইদিন বাসায় যোহর নামাজ পড়া যাবে। যারা এটি মানেন বিষয়টি তাদের দোষ নয়। কিন্তু জুমার নামাজ অবশ্যই উত্তম এবং এটি পড়লে বেশি সওয়াবও পাওয়া যায়।
তারা বলেছে, এবারের ঈদের দিন যদি কম মানুষ জুমার নামাজ পড়তে আসেন; তবুও ইমামদের অবশ্যই জুমার ইমামতি করতে হবে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ৩০ মে ২০২৫