২৭ May ২০২৫ Tuesday ৪:৩৬:৪৩ PM | ![]() ![]() ![]() ![]() |
Warning: Trying to access array offset on null in /home/amdrbari/domains/amaderbarisal.com/public_html/wp-content/themes/newsbee/news.php on line 6
হিজলা ((বরিশাল) প্রতিনিধি:

নদী বেষ্টিত উপজেলা হিজলা। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে মেমানিয়া, হিজলা গৌরব্দী,ধুলখোলা এই তিনটি ইউনিয়ন নদী বেষ্টিত। উত্তাল মেঘনা নদী বয়ে গেছে ইউনিয়নগুলোর মধ্যে দিয়ে।
হিজলা উপজেলায় নদীভুক্ত আয়তন প্রায় ৮২ কিলোমিটার। প্রায় ৩০ হাজার জেলে নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বছরের প্রায় সময়েই সরকার ঘোষিত অভিযান অব্যাহত থাকায় জেলেরা মাছ শিকার করতে পারে না। বছরের যতটুকু সময় অভিযান ব্যতীত থাকে, সে সময়েও মিলছে না ইলিশের দেখা।
ভরা মৌসুমেও জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ। এতে অলস সময় পার করছেন জেলে ও আড়তদারেরা। নদীতে মাছ না মেলায় অনেকেই হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। সামনে ঈদ উল আযহা কিভাবে পরিবারকে নিয়ে আনন্দে ঈদ কাটাবেন।
স্থানীয় জেলেরা বলছেন, নদীতে জাল ফেলেও মিলছে না প্রত্যাশিত ইলিশ। রোদ-বৃষ্টিতে কষ্ট করে নদীতে গেলে পাওয়া যাচ্ছে সামান্য কিছু মাছ, যা দিয়ে নৌকার জ্বালানি খরচও ওঠে না। ফলে নদীতে যেতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেক জেলে।
মাছঘাটগুলোয় নেই সেই চিরচেনা সরগরম ভাব। বাজারে ইলিশের সরবরাহও প্রায় শূন্য। যাও কিছু পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম আকাশছোঁয়া—এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকায়।
উপজেলা মৎস্য দপ্তরের তথ্যমতে,২০ হাজার ৪ জন জেলে কার্ডধারী রয়েছে।তাদের মধ্যে ১২ হাজার ১ শত ৯৫ জন জেলে এ বছর জেলে কার্ডের চাল পাবে। বাকি জেলে কার্ডধারীরা চাল থেকে বঞ্চিত হবে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানান, সরকার নির্ধারিত অভিযানের সময় আমরা খুবই সচেষ্ট থাকি যাতে অবৈধভাবে কোন জেলে ইলিশ শিকার করতে না পারে । এটা শুধু ইলিশ উৎপাদন বাড়ানোর জন্যই ‘ মেঘনা নদীতে নাব্যসংকট ও ডুবোচরের কারণে ইলিশ চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রচুর বৃষ্টি হলে এবং নদীতে পানির প্রবাহ বাড়লে ইলিশ ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইলিশ এখন গভীর সমুদ্রে চলে গেছে, তবে মাস শেষে জুন- জুলাই এর দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’
সরকার ঘোষিত ২ মাস ইলিশ অভয়াশ্রম অভিযান, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান, সাড়া বছর জাটকা অভিযান মেনেই ইশিল শিকার করতে হয় জেলেদের।
অন্যদিকে অভিযান চলাকালীন সময়ে অনেক জেলেকে সরকারি বেসরকারি এন জি ও থেকে লোনের দায়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়।
যদিও পরিবারের ভরণ পোষণের আশায় অভিযান এর সময়ে মাছ শিকারে গিয়ে হারাতে হয় জাল, ট্রলার, দিতে হয় অর্থদণ্ড, যেতে হয় জেলে। এভাবেই নদীর সাথে যুদ্ধ করে বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পেরিয়ে যুগের পর যুগ কাটছে জেলেদের জীবন।
জেলেরা জানান যে, বছরে ২ বার ৮০ কেজি করে জেলে কার্ডের চাল পাওয়ার কথা। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় ২০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু জেলে কার্ডের চাল আমরা পাই , তাও দেখা যায় অভিযান চলাকালীন সময়ে আমরা চাল পাই না। জেলেদের দাবি অভিযানের সময়ে আমরা নির্ধারিত চাল পাই সেটাই আমাদের দাবি।
মেঘনা পাড়ের জেলে বাকের, সজীব ,জয়নাল জানান সরকার দুই মাসের অভিযান শেষ হয়েছে।
সামনে কোরবানির ঈদ আসছে। পরিবার নিয়ে কীভাবে ঈদ কাটাবো সেই চিন্তায় আছি। সাথে বিভিন্ন এনজিও এর কিস্তির টাকাও পরিশোধ করতে হবে।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |