ইমাম গাজ্জালির ভারসাম্য ও মধ্যমপন্থা

ইমাম গাজ্জালির ভারসাম্য ও মধ্যমপন্থা

এই কঠিন পথের পথিকদের জন্য ইমাম গাজ্জালি তিনটি অমূল্য উপদেশ প্রদান করেন, যা তাঁর জ্ঞানতাত্ত্বিক বিনয় ও প্রজ্ঞার পরিচায়ক।

প্রথমত, সবকিছু জানার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করা। তিনি কোরআনের আয়াত ‘তোমাদেরকে খুব সল্পই জ্ঞান দান করা হয়েছে’ (সুরা ইসরা, আয়াত: ৮৫) উদ্ধৃত করে বলেন যে জ্ঞানের অসীম সমুদ্রে মানুষের অবস্থান ক্ষুদ্র। সব বিষয়ের চূড়ান্ত মর্ম জানা মানুষের পক্ষে অসম্ভব।

দ্বিতীয়ত, যুক্তির মৌলিক দাবিকে অস্বীকার না করা। তাঁর মতে, যুক্তি যদি মিথ্যা হতো, তবে তা দিয়ে নবুয়তের সত্যতাও প্রমাণ করা যেত না। যখন কোনো হাদিসের বাহ্যিক অর্থ স্পষ্ট যুক্তির বিরুদ্ধে যায়, তখন ব্যাখ্যা করা আবশ্যক হয়ে পড়ে।

যেমন, ইমাম গাজ্জালি উদাহরণ দেন, ‘কেয়ামত দিবসে মৃত্যুকে একটি দুম্বার সুরতে উপস্থিত করা হবে। এবং জবাই করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪,৭৩০)

গাজ্জালি বলেন, আমরা আকলের মাধ্যমে বুঝি যে মৃত্যু একটি বায়বীয় বা অবস্থাগত বিষয়, এর কোনো বস্তুগত শরীর নেই যাকে জবাই করা যায়। সুতরাং, এখানে অবশ্যই রূপক অর্থ গ্রহণ করতে হবে এবং এর ব্যাখ্যা অন্বেষণ করতে হবে।

Explore More Districts