জাকার্তা, ০৭ জুলাই – ইন্দোনেশিয়ায় চাষের কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ৬৩ বছর বয়সী এক কৃষক। তিন দিন পর গ্রামের চাষের ক্ষেতে ২৬ ফুট লম্বা এক অজগরের পেট থেকে মিলেছে তার মরদেহ।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ক্ষেতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন ওই কৃষক। কিন্তু রাত পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি ফিরে না আসায় শনিবার থাকায় জিডি করেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আজ সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়াসি দ্বীপের দক্ষিণ বুটন জেলার মাজাপাহিত গ্রাম থেকে ওই কৃষকের মৃতদেহ গ্রামবাসীরা উদ্ধার করেন বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার দক্ষিন বুটন জেলা শাখার প্রধান লাওদে রিসাওয়াল।
সাংবাদিকদের রিসাওয়াল বলেন, “আজ দুপুরের দিকে মাজাপাহিত গ্রামে খেতের কাছে একটি বিশাল আকৃতির অজগরকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। সাপটির পেট অনেক বড় ছিল এবং এটি নড়াচড়া করতে পারছিল না। দেখে তাদের মনে হচ্ছিল যে বড় ধরনের কোনো শিকার এটি গলাধঃকরণ করেছে। গ্রামবাসীরা সাপটিকে হত্যা করে সেটির পেট কাটেন এবং পেটের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় সেই কৃষকের মৃতদেহ।”
উদ্ধার করার সেই মৃতদেহ গ্রামে তার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিসাওয়াল। তিনি আরও জানান, আস্ত মানুষকে সাপ গিলে নেওয়ার ঘটনা মাজাপাহিত গ্রামে এই প্রথম ঘটেছে।
বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের বন-জঙ্গল, গ্রামাঞ্চল এমনকি মাঝে মাঝে শহরেও প্রায়ই বড় আকারের অজগর দেখা যায়। এসব অজগরের দৈর্ঘ্য ২০ ফুট কিংবা তার চেয়ে বেশিও হয়।
এসব অজগরের খাবারের তালিকায় থাকে বড় আকারের বন্য বা গবাদি পশু। মানুষ গিলে ফেলার ঘটনা বেশ বিরল।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালে পূর্ব সুলাওয়াসির সালুবিরো গ্রামে আকবর নামের ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে গিলে ফেলেছিল ২৩ ফুট লম্বা একটি অজগর। পরে ওই সাপটির পেট কেটে উদ্ধার করা হয়েছিল আকবরের মরদেহ।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ০৭ জুলাই ২০২৫