নবীযুগে নারীরা এই শিক্ষার অংশ হিসেবে চিকিৎসায় অংশ নিয়েছেন। রুফায়দা আল-আসলামিয়া (রা.) তাঁর পিতা সাদ আল-আসলামির কাছ থেকে চিকিৎসা শিখে বদর ও খন্দকের যুদ্ধে আহতদের সেবা করেন। তাঁর তাঁবু ছিল ইসলামি ইতিহাসের প্রথম মোবাইল হাসপাতাল। (ইবনে হাজার আল-আসকালানি, আল-ইসাবা ফি তাময়িজিস সাহাবা, ৮/২৩৫, বৈরুত: দারুল কুতুব, ১৯৯৫)
এই ধর্মীয় ভিত্তি নারীদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের পথ প্রশস্ত করে।
প্রথম যুগে স্বাস্থ্যসেবায় নারীদের ভূমিকা
মুসলিম নারীরা চিকিৎসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন—নার্সিং, শল্যচিকিৎসা, ওষুধ তৈরি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায়। এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও ব্যক্তিত্ব তুলে ধরা হলো:
রুফায়দা আল-আসলামিয়া (মৃ. ৬৩৪ খ্রি.): রুফায়দা বদর, খন্দক, ও খায়বারের যুদ্ধে অংশ নিয়ে আহত সাহাবিদের চিকিৎসা করেন। নবীজির নির্দেশে তিনি সাদ বিন মুআজ (রা.)-এর বাহু থেকে তির বের করেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪০৭৬)
তাঁর তাঁবু মদিনার মসজিদে নববিতে স্থাপিত হয়, যেখানে তিনি অন্য নারীদের নার্সিং ও প্রাথমিক চিকিৎসা শেখান। রুফায়দা (রা.) যুদ্ধের গনিমত থেকে অংশ পেতেন, যা ছিল তাঁর অবদানের স্বীকৃতি। (আল-মাসরি, সাহাবিয়াত হাওলা আল-রাসুল, পৃ. ১২৮, কায়রো: দারুল কুতুব, ২০০৫)