পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাছ বাজারের আড়ৎ থেকে ২১ পিস সুন্দি কাছিম উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার সময় অ্যানিম্যাল লাভারস অফ পটুয়াখালী স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠন (এএলপি) এর তথ্যের ভিত্তিতে ওই কাছিমগুলো উদ্ধার করা হয়।
এসময় কাছিম সংরক্ষণের দায়ে মানিক মিয়া (আড়ৎ মালিক) ও ফারুক (ম্যানেজার) নামের দুই মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ হাজার করে ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসিম মল্লিক, মনিরুজ্জামান মনি, রেঞ্জ অফিসার, কলাপাড়া, উপকূলীয় বন বিভাগ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ (এএলপি), সদস্য রাকায়েত হোসেন,আল আমিন, বায়েজিদ মুন্সি এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
এ্যানিম্যাল লাভারস্ অফ পটুয়াখালী স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যান ও পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্ণধার রাকায়েত আহসান জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রত্যেকটি প্রাণীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অ্যানিম্যাল লাভার অফ পটুয়াখালী স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যান ও পরিবেশবাদী সংগঠন, পরিবেশের বাস্তুসংস্থান রক্ষায় ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ বাস্তবায়নে সকল প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করি৷
বন বিভাগের উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনি সংগঠনটিকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি বলেন, সংগঠনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করছে। এরই ফলে তাদের তথ্য মতে বিভিন্ন জায়গা থেকে বন্দী বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি কলাপাড়ায় একটি আড়তে ২১ পিচ সুন্দি কাছিম বন্দী আছে, পরে অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকৃত কাছিমগুলো উপজেলা পরিষদের পুকুরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
পরে দণ্ডিত উভয়ই জরিমানা পরিশোধ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ কাজ করবে না বলে ওয়াদা করেন।