আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ

আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ

গণহত্যাকারী দল আওয়ামীলীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে দশটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের (ডেইরি গেইট) সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীদের ‘বাকশালের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’; ‘আওয়ামী লীগের চামড়া, তুলে নেবো আমরা’; ‘ছাত্রলীগের চামড়া, তুলে নেবো আমরা’; ‘যুবলীগের চামড়া, তুলে নেবো আমর’; ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়৷

মিছিল শেষে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান এবং আওয়ামী লীগের বিষয়ে বর্তমান সরকারের নীরবতার সমালোচনা করেন৷

এসময় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির হোসেন বলেন, বহু মানুষের জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে৷ কিন্তু এই হতাহতের জন্য আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ অনুতাপ নেই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলে দিতে চাই অবিলম্বে এই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন এবং প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন।

‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে’ মন্তব্য করে সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু এই চব্বিশেই ফ্যাসিস্ট হয়নি, তারা ১৯৭৫ এ ও ফ্যাসিস্ট ছিল। পরপর তিনটি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। আমরা চাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আমাদের সংগ্রাম চলবেই।

‘মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামি লীগ’ মন্তব্য করে শাখা শিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামি লীগ। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা একটু নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি একদল মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য। আমরা বলে দিতে চাই কোন প্রকার তালবাহানা আমরা মেনে নেব না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

‘আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব তারা তা করেনি’ মন্তব্য করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, গণহত্যার পরে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে তাদের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত ছিল আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা কিন্তু তারা তা করেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ হরতালের কর্মসূচি দেয়, লিফলেট বিতরণ করে, গুপ্ত হামলা চালায়। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই আপনারা যদি শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি না করতে চান এবং গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করেন তাহলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেন৷

Explore More Districts