বান্দরবানের আলীকদম নয়াপাড়ায় ইউনিয়নে গরু চোর সিন্ডিকেটের ৫ সদস্যকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান।
গত বৃহস্পতিবার (০৪ মে) রাতে নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: কফিল উদ্দিন ৫ গরু চোরকে পুলিশে সোপর্দ করেন। রাতে বিবেক কান্তি দে বাদী হয়ে ৫ জন গরু চোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গরু চুরির ঘটনায় আটককৃতরা হলেন মো:ফরিদুল আলম (২০),মো:,ইয়াসিন আরাফাত (১৭),শাহিন আলম (১৮), মো:হোছেন (২৩), জাফর আলম (৩১)।তাদের সবার বাড়ী নয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে।
এই বিষয়ে আরও
জানা যায়, একটি চুরি হওয়া গরু খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে গত রবিবার রাতে বিবেক কান্তি দের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরির ঘটনাটি সামনে আসে। গরু চোরের সাথে জড়িত সন্দেহ ভাজনদের সবাইকে পরিষদে ডাকা হয়। প্রথমে গরু চুরির বিষয়টি অস্বীকার করলেও স্বাক্ষীদের মুখোমুখি করা হলে স্বীকার করেন অভিযুক্তরা বাদীর গরু চুরি করে জবাই করে মাংস বিক্রি করেছেন। গরু চুরির ঘটনা প্রমাণিত হলে গরু চুরির সাথে জড়িত ৫ জনকে ইউপি চেয়ারম্যান মো:কফিল উদ্দিন পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
আলীকদম থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোজাফফর হোসেন জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ৫ জনই গরু চুরির কথা স্বীকার করেছেন।তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আটককৃতদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো:কফিল উদ্দিন বলেন, মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ চোরাই গরু আসার পর থেকে অত্র ইউনিয়নে গৃহপালিত গরু চুরির ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, গরু চুরির আতংকে গোয়াল ঘরে না রেখে মানুষের শোয়ার ঘরের গরু রাখতে বাধ্য হচ্ছে। প্রতিদিনই অসংখ্য গরু চুরির অভিযোগ আসে। এভাবে খেটে-খাওয়া মানুষের কষ্টে কেনা গরু চুরি হলে তাদের পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। তাই চুরি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।