আর তর্কবিতর্ক নয়, নির্বাচন নিয়ে মনোযোগী হোন এবার

আর তর্কবিতর্ক নয়, নির্বাচন নিয়ে মনোযোগী হোন এবার

সে ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষে আনুপাতিক হারে নির্বাচনব্যবস্থাই মৌলিক পরিবর্তন বলে মনে করি। যাঁরা এই ব্যবস্থার দাবিতে মাঠে আন্দোলন করছেন, তাঁরা আগামী নির্বাচনে জনগণের রায় পেলে নিম্নকক্ষেও এটি কার্যকর করতে পারবেন।

এরপরও জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের নিন্দা জানানো এবং একটি দলকে খুশি করার অভিযোগ আনার পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে কি না, সেটাই প্রশ্ন। একই অভিযোগ বিএনপি ও তার মিত্ররাও আনতে পারে। তারা শুরুতে গণভোটের পক্ষে না থাকলেও সমঝোতার স্বার্থে এটি মেনে নিয়েছে।

এখন জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীরা যদি সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট না মানে, তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? সরকারকে নতুন করে ফের শুরু করতে হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

গণভোটের সময় নিয়ে জামায়াত যে যুক্তি দেখিয়েছে, সেটা যৌক্তিক নয়। গণভোটের প্রতি যদি মানুষের সমর্থন থাকে, সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট দিতে পারবেন। এখানে মূল সমস্যা হলো চারটি বিষয়ের প্রতি হয় তাদের সমর্থন জানাতে হবে, না হয় পুরোটা নাকচ করতে হবে। বরং নির্বাচনের আগে গণভোট হলে ভোটারদের উপস্থিতি আরও কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

Explore More Districts