আর কত পর্যটকের মৃত্যু দেখতে হবে

আর কত পর্যটকের মৃত্যু দেখতে হবে

সরকার, হোটেল-মোটেলের মালিক, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি—সবাই এই বিশাল পর্যটনশিল্প থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করছে। কিন্তু সেই আয়ের ন্যূনতম অংশও পর্যটকের জীবনের নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে না। এই অবহেলা অমার্জনীয়। প্রশ্ন হচ্ছে, বছরে কয়েক শ কোটি টাকা আয়ের বিনিময়ে কি একটি সি-নেটিং ব্যবস্থা, আধুনিক লাইফগার্ড ইউনিট বা পর্যাপ্ত মনিটরিং টাওয়ার তৈরি করা যায় না?

বিশ্বের উন্নত সমুদ্রসৈকতগুলোতে নির্দিষ্ট সুইমিং জোন থাকে, যেখানে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়। বাংলাদেশেও এক যুগ আগে এমন এক উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কয়েক মাসেই ঢেউয়ের ধাক্কায় ধ্বংস হয় এবং তারপর আর কেউ ফিরে তাকায়নি। অথচ ভাঙনরোধ ও নিরাপদ গোসলের জন্য প্রযুক্তিগত ও পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব।

শুধু প্রশাসন নয়, হোটেল ব্যবসায়ী ও স্থানীয় পর্যটন ব্যবস্থাপনার প্রতিটি অংশীদারও দায় এড়াতে পারেন না। পর্যটকেরা শুধু নিজেরা সচেতন থাকাই যথেষ্ট নয়, তাঁদের সচেতন করাও গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত লাইফগার্ড, বিচকর্মী ও মনিটরিং ক্যামেরা এখানে যুক্ত করা উচিত। টানা কয়েক দিনের ছুটিতে অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবী বা খণ্ডকালীন লাইফগার্ড বা বিচকর্মী নিযুক্ত করা যেতে পারে।

Explore More Districts