আমতলীতে হাফেজা পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

আমতলীতে হাফেজা পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

২৩ October ২০২৫ Thursday ৯:৪১:০৪ PM

Print this E-mail this


আমতলী ((বরগুনা) প্রতিনিধি:

আমতলীতে হাফেজা পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

হাফেজা পড়ুয়া নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার মামলা করেছেন মেয়ের বাবা।

ওই ট্রাইব্যুনালে বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের মো. কামাল হোসেনের ছেলে মো. শিমুল (২৫) ও তার বন্ধু মো. রুহুল আমিন খাঁ (৩০)।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।

জানা যায়, একই গ্রামের হাফেজা পড়ুয়া ১৬ বছরের মেয়েটি স্থানীয় একটি হেফজখানায় পড়াশোনা করে। আসামি শিমুল মেয়েটিকে মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করে। প্রেম করার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি প্রেমে রাজি না হয়ে তার মা-বাবার কাছে বলে দেয়। পরে শিমুলের বাবার কাছে অভিযোগ দিয়ে শিমুলকে নিভৃত থাকতে বলা হয়। এতে শিমুল অপমান বোধ করে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

মেয়েটি নিত্যদিনের মতো ২১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল অনুমান সাড়ে ৯টার সময় বাদীর বাড়ির সামনে দিয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে শিমুল ও তার বন্ধু রুহুল আমিন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মোটরসাইকেলে তুলে খুনের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় জনৈক চুন্নু মোল্লা দেখে মেয়ের বাবাকে জানান।

মেয়ের বাবা বলেন, আমার নাবালিকা মেয়েকে শিমুল ও রুহুল আমিন জোর করে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তিন দিন হলো কোনো খোঁজ পাইনি। শিমুলের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাইনি। আমার বিশ্বাস আসামি শিমুল আমার মেয়েকে কোথাও গোপন স্থানে আটক রেখে জোর করে ধর্ষণ করেছে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না। আমি নিরুপায় হয়ে ২২ অক্টোবর আমতলী থানায় মামলা করতে যাই। থানা মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।

আসামিদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। কেউ মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা নিতাম। তারপরও আদালতের আদেশ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts