আমতলীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সং*ঘর্ষে আহ*ত ৪, শাস্তির দাবীতে সড়ক অবরোধ

আমতলীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সং*ঘর্ষে আহ*ত ৪, শাস্তির দাবীতে সড়ক অবরোধ

২৪ September ২০২৫ Wednesday ৯:০২:৫৬ PM

Print this E-mail this


আমতলী ((বরগুনা) প্রতিনিধি:

আমতলীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সং*ঘর্ষে আহ*ত ৪, শাস্তির দাবীতে সড়ক অবরোধ

ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত রায়হানকে বরিশাল শের-ই বালা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জিহাদকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে শাস্তির দাবীতে রায়হানের সমর্থক ছাত্ররা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী চৌরাস্তায় টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। পুলিশের আশ্বাসে প্রায় ঘন্টাখানেক পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় তারা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমতলী এমইউ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আমতলী এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার বিকেলে ইন্টার স্কুল ফাইনাল খেলা শেষ হয়। ওই খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে একে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখার ছাত্রদল সভাপতি আমতলী সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র মুশফিকুর রশিদ হিরা ও একই কলেজের ছাত্রদল সমর্থক রায়হান মোল্লার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে রায়হান ও জিহাদ, হিরা ও সজল নামের চার ছাত্র আহত হয়। গুরুতর আহত রায়হানকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এবং জিহাদকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রায়হানের অভিযোগ, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মুশফিকুর রশিদ হিরা ও একে সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্রদল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিহাদসহ ২০-২৫ জন ছাত্র তাকে মারধর শুরু করে। তাদের ভয়ে একটি বাসায় আশ্রয় নেয়। ওই বাসা থেকে তাকে নামিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। অপর দিকে মুশফিকুর রশিদ হিরার অভিযোগ রায়হান ছাত্রলীগ করতো। তিনি ছাত্র দলের কেউ না। গত বছর ৫ আগষ্টের পর থেকে ছাত্রদলের একটি পক্ষের সঙ্গে মিশে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। মঙ্গলবার খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে কথা কাটিকাটি হয়। এর জের ধরে রায়হান ও তার সমর্থক রাতুল হাওলাদারসহ ১৫-২০ জন তাকেসহ তিন ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে। এতে জিহাদ গুরুতর গুরুতর জখম এবং ছাত্রদল আমতলী সরকারী কলেজ শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সজল ও হিরা আহত হয়। আহত রায়হানকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

আহত হিরার অভিযোগ- আমতলী হাসপাতালে জিহাদ ও তাদের চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে রায়হানের সমর্থকরা তাদের মারধর করেছে। পরে আহত জিহাদকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবীতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রায়হানের সমর্থকরা পটুয়াখালী- কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী চৌরাস্তায় টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশের আশ্বাসে ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেয়।

আমতলী উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইমরান খাঁন বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। তবে রায়হান ছাত্রদলের কেউ না। আগে ছাত্রলীগ করতো। ছাত্রদলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহত রায়হানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) সাইদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts