ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। সোমবার(১০ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সহ যারা এই মূহুর্তে নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে রেখে বর্তমানে সেবা দিয়ে যাচ্ছে, সেই সব ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের এই টীকা সারির প্রথমে রাখা হয়েছে।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে টিকাদান অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত মূলত স্থানীয়ভাবে তৈরী কোভিসিল্ড এবং কোভিজিন দিয়েই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় ১ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, রাজধানী দিল্লী এবং দেশটির অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু মুম্বাইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে তীব্র গতিতে বাড়ছে সংক্রমণের হার। ভারতে ওমিক্রন আসার পর পরই বুস্টার ডোজের ধারা শুরু হয়েছিল। অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থা প্রাথমিক গবেষণা করে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশটির সরকার।
গত সপ্তাহে সরকার ১৫-১৮ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করেছে। প্রায় ৩১% লোককে এর মধ্যেই টীকা কর্মসূচির অভ্যন্তরে এনেছেন, এখন প্রায় ৬৬% লোক দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এখনো জনসংখ্যার একটি বড় ভাগ টিকা কর্মসূচীর বাইরে রয়েছেন যাতে করে সংক্রমণ বাড়ার একটি সমূহ সম্ভবনা আছে।
ওমিক্রনের এই তীব্র বিস্তার শঙ্কা বাড়াচ্ছে দেশটিতে। ভারত ওমিক্রনের মোট ৪০০৩ টি কেস নিশ্চিত করেছে, মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ(১,১২৬) সংখ্যা জানা গেছে, এরপর রাজস্থানে(৫২৯) এবং দিল্লীতে(৫১৩) জন বলে জানা গেছে। দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ৩ কোটি ৫০ লাখ কোভিড শনাক্ত হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার।
এই বিধ্বংসী তরঙ্গ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অভিভূত করছে। যার ফলে অক্সিজেন,হাস্পাতালের বিছানা ও গুরুতর ওষুধের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে বলে জানা যায়।