ঝিনাইদহের তরুণী তানজিনা বললেন, ‘মুড়িমাখায় জিলাপি মিশিয়ে খেতে মজা লাগে। ঝালের সঙ্গে একটু মিষ্টি মিষ্টি ভাব মুড়িমাখার স্বাদটা দ্বিগুণ করে দেয়।’ জিলাপি–বিরোধীদের সম্পর্কে এই তরুণীর বক্তব্য, ‘তাঁদের হয়তো হজম করতে সমস্যা হয়, তাই মুড়িমাখায় জিলাপি তাঁরা পছন্দ করেন না।’
উত্তরবঙ্গের ৫৬ বছর বয়সী জোবেদা আক্তারের বক্তব্যও প্রায় একই। তাঁর মতে, ‘লালমনিরহাট জেলার ইফতারে বুট, বুন্দিয়া আর জিলাপি অবশ্যই লাগবে। ইফতারে সব উপকরণ মাখানোর পর সেটির সঙ্গে কড়কড়া জিলাপিতে কামড় না বসালে ইফতারে তৃপ্তি হয় না। আমাদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ আখের গুড়ের জিলাপি, যা উত্তরবঙ্গে বেশি পাওয়া যায়।’
খাবার ও আঞ্চলিকতা নিয়ে যদি ট্রলের হিসাব কষা হয়, সে ক্ষেত্রে নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষদের ঘিরেই বেশি। তাই মুড়িমাখায় জিলাপি বিতর্কে এই অঞ্চলের মতামতও নিয়েছি আমরা। সেখানে মুড়িমাখায় জিলাপির পক্ষে যেমন আছেন, বিপক্ষেও আছেন অনেকে। নোয়াখালীর কাপড় ব্যবসায়ী মিলন হকের মতে, মুড়িমাখায় জিলাপি মিষ্টি-ঝালের সংমিশ্রণের অনন্য স্বাদ তৈরি করে, যা নোয়াখালীর খাদ্যসংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ এটা নোয়াখালীর মানুষ আপন করে নিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘জিলাপির মিষ্টি ইফতারের সময় দ্রুত শক্তি জোগায়। ইফতারে সবাই একসঙ্গে বসে মুড়ির সঙ্গে সব উপাদান মেখে খাওয়ার মজাই আলাদা।’