শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি ৮মার্চ আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুডার উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মস‚চি পালন করা হয়। কর্মস‚চির মধ্যে আরডিএ লেডিস ক্লাবের পক্ষ থেকে একাডেমি প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করা হয়। সকাল ১১ টায় একাডেমির প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। এরপর একাডেমির অডিটোরিয়ামে সেমিনার আলোচনা সভা ও পুতুল নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয। সেমিনারে আলোচক হিসেবে অনলাইন জুম প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে সেমিনারটি একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে রূপ দিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালযয়ের প্রফেসর ড.জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি বলেন ভারত সরকার তাদের জাতীয় বাজেটে জেন্ডার সেনসিটিভির গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভারতে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানসম‚হের বাজেটেও নারী উন্নয়নের বিষয়টি যথাযথভাবে প্রাধান্য পায়।
সেমিনারে গবেষণাম‚লক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান আলোচক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.ওয়ারদাতুল আকমাম। তিনি বলেন টেকসই উন্নয়নের জন্য নারী পুরুষের সমানতা এর চেয়ে সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও নারীদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিযয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন । এক্ষেত্রে তিনি বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া দরকার।
উক্ত সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুরশিদা ফেরদৌস বিনতে হাবিব, আরডিএ বগুড়ার যুগ্ম-পরিচালক ড. শফিকুর রশিদ এবং অনুষদ সদস্যবৃন্দ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) জনাব ফেরদৌস হোসেন খান।
প্রফেসর ড. মুরশিদা নির্যাতিত নারীদের মনস্তাত্তি¡ক সমস্যা সমাধানের বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি নারীদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ওপর জোর করেন। এসডিজি’র লক্ষ্য বাস্তবায়নে অন্ন বস্ত্র স্বাস্থ্য শিক্ষার পরেই নারী-পুরুষের সমতার কথা বলা হযয়েছে। তিনি বলেন নারী-পুরুষের সমতা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব না।
উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ),বগুড়ার মহাপরিচালক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব খলিল আহমদ।
মহাপরিচালক সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন । নারী-পুরুষ সমতা অর্জন, নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার নিমিত্তে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ভ‚মিকার জন্য তাঁর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন । তিনি বলেন বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট প্রণয়নকালে জেন্ডার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো নারীর ক্ষমতায়ন এবং এ বিষযয়ে তিনি বিস্তারিত আলোকপাত করেন।