গ্রামাঞ্চলে বিনোদনের তেমন কোন মাধ্যম না থাকায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের দয়াল নগরে আনন্দমুখর পরিবেশে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ভেলাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে বাইচ দেখতে শত শত মানুষ ভির জমান ভেলা বাইচ স্থলপ।বাইচ দেখতে আসা শত শত দর্শনার্থীরা আনন্দ উপভোগ করেন।
রাজবাড়ী গ্রামীন জনসাধারনের বিনোদনের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য স্থান না থাকায় ভেলা বাইচের মত ব্যাতিক্রমি বিনোদনের আয়োজন করেছে স্থানীয় মিজানপুর ইউনিয়নের সাবেক এক ইউপি সদস্য। বুধবার বিকালে মিজানপুর ইউনিয়নের দয়ালনগরে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ফকির তার নিজ পুকুরে এ বাইচের আয়োজন করেন। বাইচ দেখতে শত শত মানুষ ভির জমান বাইচ স্থলে। স্থানীয় সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাইচ দেখতে এসে আনন্দ উপভোগ করেন তারা। বিনোদনের তেমন কোন স্থান এখানে না থাকায় ভেলা বাইচের মত এমন আয়োজনকে তারা সাধুবাদ জানান। এ ভেলা বাইচে রাজবাড়ী সহ ঢাকা ও সিরাজগঞ্জ জেলার দুটি দল সহ ৬ টি দল অংশ নেয়। বাইচকে ঘিরে শতাধিক দোকানপাট বসেছে।বিভিন্ন বয়সী বিনোদন প্রেমিরা আনন্দ উপভোগ করেছেন এখানে।প্রতি বছর এমন গ্রামীন ঐতিহ্যের আয়োজন করতে আয়োজক কমিটিকে অনুরোধ জানান।
এ ভেলা বাইচে ৬ টি দল অংশ নেয়।এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ দল প্রথম স্থান অর্জন করে।দ্বিতীয় হয়েছে ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজধরপুর দলতৃতীয় হয়েছে ঢাকার পীরসাহেব দল।এই তিন দলকে পুরষ্কার হিসেবে নগদ টাকা দেওয়া হয়।
ভেলা বাইচ দেখতে আসা দর্শনার্থী সোহাগ মিয়া বলেন,গ্রামীন ঐতিহয্যের ও গ্রাম বাংলার বিনোদনের মাধ্যম গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। গ্রামীন এসব স্থানে বিনোদনের তেমন কোন স্থান নেই।তাই গ্রাম্য এলাকায় ভেলা বাইচের মত এমন আয়োজন দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে। আরো এক দর্শনার্থী সুপ্রিয়া বলেন তিনি বাইচ দেখতে এসে আনন্দ উপোভোগ করছেন, খুব ভালো লেগেছে ব্যাতিক্রমি এ ভেলা বাইচ দেখে।প্রতিবছর এমন আয়োজন করতে আয়োজক কমিটিকে অনুরোধ জানান তিনি।
ভেলা বাইচ আয়োজক কমিটির আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন ফকির, তিনি বলেন, আমাদের এ স্থানে বিনোদনের তেমন কোন স্থান নাই। তাই দর্শকদের বিনোদনের জন্য ভেলা বাইচের আয়োজন করেছি। আমার ধারনা ছিল এখানে তেমন মানুষ হবেনা।কিন্তু বিকেল হতেই শত শত মানুষ বাইচ দেখতে এসেছে।আগামী বছরও এমন আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যা আজম আলী মন্ডল বলেন,এটা ছিল ব্যাতিক্রম ধর্মী একটা আয়োজন।এ ভেলা বাইচ দেখে আমারও খুব ভালো লেগেছে।আমার পরিবারও দেখতে এসেছে বাইচ।আমি আশা করি আগামীতেও এমন আয়োজন করবে আয়োজক কমিটি।আমার পক্ষ থেকে আয়োজক দেলোয়ার ফকিরকে ধন্যবাদ জানাই।