সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে পাত্তাই দিচ্ছে না ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। ৫ বছর আগে চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৮০ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে স্থায়ী নিয়োগের আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সেই রায় এখনও বাস্তবায়ন করেনি মন্ত্রণালয়। ফলে আগামী মাসে বেকার হতে চলেছে ৮০টি পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিরা। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এটি আদালত অবমাননার সামিল।
‘আমাদের যেন এই চাকরি থেকে বিতাড়িত হতে না হয়’- এমন কথা বললেন একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী। নিজ কর্মস্থলে আবারও ফিরবেন, এমন বুকভরা আশায় গেলো কয়েকদিন ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন ৮০ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
২০১৫ সালে চুক্তিতে চাকরি শুরু করলেও তারা আশাবাদী ছিলেন যে, স্থায়ী হবে তাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা। কাজ করেছিলেন করোনা দুর্যোগের ভেতরেও। সব বিবেচনায় ২০১৮ সালে তাদের চাকরি স্থায়ী করার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। কিন্তু সেই আদেশ তোয়াক্কা করছে না ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এরকম একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, আগামী জুন মাসের ৩০ তারিখের পর আমাদের চাকরি আর থাকছে না। বয়সও নেই। এরপর আমরা কী করবো?
ভুক্তভোগী আরেকজন জানান, এখন তার বয়স ৪৩ বছর। অন্য কোনো চাকরিতে যাওয়ার অবস্থা আর তার নেই।
২০১৮ সালে চুক্তিতে যোগ দিয়েছিল এক দফায় ১২৩ জন, আরেক দফায় ২৪ জন। পরের দফার সবাই স্থায়ী নিয়োগ পেলেও প্রথম দফার ৮০ জনের চাকরি স্থায়ী হয়নি। ভুক্তভোগী আরেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। সি গ্রেডের কয়েকজনকে দিলেন, কোড ভায়োলেট করা হলো। এ গ্রুপ থেকেই দিচ্ছেন। আমরা বি গ্রুপ। আমরা কী অন্যায় করেছি?
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, অবশ্যই আদালতের নির্দেশ না মানা আদালত অবমাননার শামিল। এটা যে-ই হোক, যে সংস্থাই হোক, আদালতের আদেশ মানতে সবাই বাধ্য। কেউ যদি মানেন তাহলে অবশ্যই আদালত অবমাননার জন্য তারা দায়ী থাকবে। কোনো রিভিউ পেন্ডিং না থাকলে, কোনো আদেশ না থাকলে কারও এত বড় সাহস থাকার কথা না যে, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করবে।
/এম ই