বৃদ্ধার বয়স্কভাতার টাকা গেলো মেব্বারের ছেলের একাউন্টে এই শিরোনামে গত ২৪ জুলাই শনিবারে সিটিজি নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন সচেতন মহলেরর মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।বিষয়টি নজরে অাসে অানোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের অাহম্মদের কাছে। তিনি অানোয়ারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেবকে বিষয়টি দ্রুত সামাধান করতে বলেন।
অাজ সোমবার সকালে অানোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের অাহম্মেদ বৃদ্বার কাছে ছুটে যান এবং ১০ হাজার টাকার অনুদান ও খাদ্য সামাগ্রী দিয়ে অাসেন।এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের তালিকায় অগ্রাধিকার করে বৃদ্বাকে ঘর করে দেওয়ার অাশ্বাস দেন
আনোয়ারা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (ইউপি) সদস্য মিনু রানী দত্ত ও তার ছেলে নিরোৎপল দত্তের(৩৫) বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বোয়ালগাঁও গ্রামের বিধবা অরণ্য বালা দে (৯১) নামের এক বৃদ্ধার বয়স্ক ভাতার টাকা নিরোৎপল দত্তের মোবাইলের নগদ একাউন্টে নিয়ে নিচ্ছে বলে জানায় ভুক্তভোগী অরণ্য বালা দে ও তার নাতী মিটন দত্ত (৩৬)। টাকা না পেয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে এই তথ্য বেরিয়ে আসে। বিষয়টা নিয়ে এলাকা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্ত ও তাঁর ছেলে নিরোৎপল দত্ত ঐ টাকা ফেরত দেবে বলে জানায়।মিনু রাণী দত্ত অাজ টাকাগুলো চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করে।
বিকেলে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব বৃদ্বাকে ৬ মাসের ৩হাজার টাকা তুলে দেন।
উপজেলার আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বোয়ালগাঁও গ্রামের স্বামী-সন্তানহীন বৃদ্ধা অরণ্য বালা দে (৯১) গত ৬ মাসের বয়স্ক ভাতার টাকা না পেলে সমাজ সেবা অফিসে আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ইতোপূর্বে “০১৮২২৩০৮৬০৫” নম্বরে মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলা হয়েছে। এবং ঐ একাউন্টে টাকা জমা হচ্ছে। পরে মিটন দত্ত এই নাম্বারে ফোন করে জানতে পারে এ একাউন্টটি স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মিনু রাণী দত্তের ছেলে নিরোৎপল দত্তের নাম
এমকে