বৃহস্পতিবার পালিত হবে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। সন্ধ্যার পর শুরু হবে এ মহিমান্বিত রাত, যা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদতের মাধ্যমে পালন করবেন।
সন্ধ্যার পর থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদ ও নিজ নিজ বাসস্থানে ইবাদতে মগ্ন হবেন। নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া এবং মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে কাটবে রাত।
শবে কদর মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, তার নৈকট্য অর্জনের এক অনন্য সুযোগ। এই রাত পাপ মোচন, কল্যাণ লাভ এবং ভাগ্য নির্ধারণের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে গণ্য হয়।
পবিত্র কোরআন ও একাধিক হাদিস থেকে জানা যায়,এ রাতেই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল, আর তাই এই রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ রাতে আল্লাহর অফুরন্ত রহমত বর্ষিত হয়, যা সুবহে সাদিক পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
এ রাতে মুমিন বান্দারা ফেরেশতাদের সান্নিধ্য লাভ করেন, যা এক পবিত্র মুহূর্তের সৃষ্টি করে। এক রাতের ইবাদতে অর্জিত হয় হাজার মাসের সওয়াব। এই মহিমান্বিত রাতকে কেন্দ্র করে আসমানে সৃষ্টি হয় আনন্দের পরিবেশ।
এ রাতে ফেরেশতারা, বিশেষ করে জিবরাঈল (আ.), তার কাফেলাসহ পৃথিবীতে আগমন করেন এবং ইবাদতকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আল্লাহর দয়ার সাগরে সৃষ্টি হয় জোয়ার,রহমতের বারি বর্ষিত হতে থাকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত।
আল্লাহ তাআলা বলেন—‘কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সেই রাতে ফেরেশতারা ও রুহ (জিবরাঈল আ.) তাদের রবের হুকুমে কল্যাণময় সব বিষয় নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এটি শান্তিময় রাত, যা সুবহে সাদিক পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।”** (সুরা কদর ৩-৫)
নবী (সা.) বলেন—‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও সওয়াবের প্রত্যাশায় রোজা রাখে,তার পূর্বের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে পূর্ণ বিশ্বাস ও সওয়াব লাভের আশায় ইবাদত করবে, তার পূর্বের গুনাহসমূহও মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি ২০১৪)
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন,বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এছাড়া, শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকবে।
২৭ মার্চ ২০২৫
এজি