মোহাম্মদ সেলিম: আজ বুধবার ৫ জানুয়ারি গজারিয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে ৭টি ইউনিয়নকে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে। একাধিক স্থলে নিরপত্তার জালে আইন শৃংখলার বাহিনী টহল দিচ্ছে। আইন শৃংখলার বাহিনীর চোখ এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে।
গজারিয়া ইউপি নির্বাচনে পুলিশ, এপিবিএন আনসারের সমন্বয়ে প্রতি ইউনিয়নে একটি মোবাইল ফোর্স ও ৩টি ইউনিয়নে ১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে। র্যাবের ২টি মোবাইল ফোর্স ও ১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবির ২টি মোবাইল ফোর্স (২ প্লাটুন) ও ১টি স্ট্রাইকিং (১ প্লাটুন) ফোর্স নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে। এছাড়া নদী পথে কোস্টগার্ডের ২টি মোবাইল ফোর্স ও ১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনকে ঘিরে দায়িত্ব পালন করছে।
গজারিয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার হচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ৩শ’৬জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার হচ্ছে ৫৭ হাজার ৭শ’১০জন। আর মহিলা ভোটার হচ্ছে ৫৪ হাজার ৫শ’৯৬জন। এখানে সর্বমোট ৩শ’২০টি ভোট কক্ষ রয়েছে। তারমধ্যে অস্থায়ী ভোট কক্ষ মাত্র ১২টি। এখানে মোট ভোট কেন্দ্র ৬৬টি।
এবারের নির্বাচনে এখানে ইউপি চেয়ারম্যানে পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিটি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। সেক্ষেত্রে এখানে আওযামীলীগই আওযামীলীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করছে। তার ফলে নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর মধ্যে প্রচার প্রচারণায় পেশিশক্তি প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। এসব ঘটনায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটারদের ঝোক বিদ্রোহী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর দিকে।
এ নির্বাচনে ৭টি চেয়ারম্যান পদে ৩৬জন ব্যক্তি নির্বাচনী লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত রয়ে গেছেন। সাধারণ সদস্য পদে ২শ’৩৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। আর সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতায় রয়েছেন।
Related