আকাশ নীল হওয়ার রহস্য উদঘাটন বিজ্ঞানের

আকাশ নীল দেখায় রিলে স্ক্যাটারিং নামক বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার কারণে। সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে এটি বাতাসের অণু ও কণার সাথে মিলিত হয়। নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট হওয়ায় এটি বেশি বিচ্ছুরিত হয়।

এই প্রক্রিয়াটি প্রথম ব্যাখ্যা করেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী লর্ড রেলে। তার নামানুসারে এটির নামকরণ করা হয়। NASA এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির গবেষণায়ও এই তত্ত্বটি নিশ্চিত হয়েছে।

রিলে স্ক্যাটারিং কীভাবে কাজ করে?

সূর্যের সাদা আলো আসলে সাতটি রংয়ের সমন্বয়। বেগুনি, নীল এবং সবুজ রং এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য । লাল, কমলা ও হলুদ রংয়ের তরঙ্গদৈর্ঘ্য

বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বেশি বিচ্ছুরিত হয়। নীল আলো সব দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণেই আকাশ নীল দেখায়।

মানব চোখ বেগুনি রং এর চেয়ে নীল রং শনাক্ত করে। তাই আকাশকে আমরা নীল দেখি।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তে আকাশ লাল হয় কেন?

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্য দিগন্তের কাছাকাছি থাকে। এর আলোকে বায়ুমণ্ডলের বেশি পথ অতিক্রম করতে হয়।

এই দীর্ঘ পথে নীল আলো সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছুরিত হয়। ফলে লাল ও কমলা আলো直接我们的 চোখে পৌঁছায়। তাই আমরা আকাশকে লাল বা কমলা দেখি।

বায়ুমণ্ডলে ধুলো ও দূষণের কণা থাকলে এই effect আরও বেড়ে যায়।

আকাশের রং সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন

আকাশের রং নিয়ে মানুষের মনে always好奇 থাকে। অনেকেরই প্রশ্ন – মহাকাশ থেকে আকাশ কি নীল দেখায়? উত্তর হল না, মহাকাশে বায়ুমণ্ডল নেই। তাই সেখানে আকাশ কালো দেখায়।

আরেকটি সাধারণ প্রশ্ন – মেঘলা দিনে আকাশের রং change হয় কেন? মেঘে থাকে পানিの ব droplets। এগুলো সব রংয়ের আলো equally ছড়ায়। তাই মেঘ সাদা দেখায়।

বিজ্ঞানের একটি মজার বিষয়

আকাশের নীল রং শুধু সৌন্দর্য্য নয়, এটি বিজ্ঞানের বিষয়। এই phenomenon বায়ুমণ্ডলের অস্তিত্ব prove করে। এটি পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য করে তুলতে helps করে।

রিলে স্ক্যাটারিং প্রক্রিয়া বোঝা atmospheric science এর একটি মৌলিক বিষয়। এটি আবহাওয়া ও climate change গবেষণায়ও help করে।

জেনে রাখুন-