বাংলাদেশ তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে মাত্র তিনবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিয়েছে। এর মাঝে সেরা সাফল্য ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসরে সেমিফাইনালে খেলা। অতীত ইতিহাস কিংবা দলের শক্তিমত্তা বিবেচনায় বাংলাদেশের নামটা শেষের দিক থেকে সেরা তিনেই থাকবে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। হাইব্রিড মডেলের এবারের আসরে চতুর্থবারের মত অংশ নেবে বাংলাদেশ। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছে এমন ক্রিকেটারের সংখ্যায় অস্ট্রেলিয়ার পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে অস্ট্রেলিয়া দলে এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা সাত জন। স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০১৭ এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছেন। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার এই সংখ্যাটা আট হতে পারতো যদি মার্কাস স্টয়নিস অবসর না নিতেন। ম্যাক্সওয়েল ও স্টার্কের অভিজ্ঞতা একটু বেশি—তারা এবার তৃতীয়বারের মতো খেলবেন এই টুর্নামেন্ট।
অন্যদিকে ২০১৭ সালে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে তোলা সেই দলের সদস্য ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। এরা সকলে এবারের আসরেও লাল সবুজের জার্সিতে মাঠে নামবে।
এ তালিকায় বাংলাদেশের পরই আছে ভারত। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ শামি এর আগে খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এর মধ্যে কোহলি ও রোহিত এবার খেলতে যাচ্ছেন তাদের তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এছাড়া নিউজিল্যান্ড,পাকিস্তান , ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে আছেন তিনজন করে ক্রিকেটার।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন।