এম সাইফুল ইসলাম শাফলুঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে অর্থের অভাবে ছয় উপজাতি শিক্ষার্থীর উচ্চ মাধ্যমিক লেখাপড়ার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অধম্য ইচ্ছা শক্তি থাকা সত্ত্বেও অর্থের কাছে হেরে যাচ্ছে এই ৬ মেধাবী শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার স্বপ্ন। পরিবারের অভাব অনটনে দিন কাটাচ্ছে প্রতিনিয়মিত। তবু যেন একটি স্বপ্ন মেয়েকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করাবেন পরিবারের প্রধানকর্তা।
জানা যায়, শিক্ষাবর্ষ ২০২৪-২৫ স্থানীয় একটি বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক পাস করেন। পরে অর্থের অভাবে কোন কলেজে ভর্তি হতে পারেনি এই ৬ শিক্ষার্থী। পরের বছর নব্য পাঠদান অনুমোদিত খলিলুর রহমান মডেল কলেজে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আজহারুল ইসলাম নিজ খরচে ২০২৫-২৬ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করার সুযোগ করে দেন। অধ্যায়নরত রয়েছে এই ছয় উপজাতি শিক্ষার্থী। বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েও কলেজ ড্রেস এবং পাঠদানের বই কেনার সামর্থ্য নেই এই শিক্ষার্থীদের। তাই স্বপ্ন এখনো আধরা হয়ে আছে।
শিক্ষার্থীরা হলো কালিদাস পশ্চিম পাড়া গ্রামের নবীনচন্দ্র কোচের মেয়ে নুপুর রানী কোচ, গোপাল চন্দ্র কোচের মেয়ে লতা রানী কোচ, সুনীল চন্দ্র কোচের মেয়ে সঞ্চিতা রানী কোচ, সুবর্ণা রানী কোচ, অনিল চন্দ্র কোচের মেয়ে অনিতা রানী কোচ, কামনতো চন্দ্র কোচের মেয়ে শিমুর রানী কোচ।
ছয় শিক্ষার্থী পৃথকভাবে বলেন, তাদের বাবা-মা দুজনেই অন্যের পরিবারে কাজ করেন । বাবা মার স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও অর্থের কাছে স্বপ্ন হেরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে খলিলুর রহমান মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসান শাহ্ রিয়ার রহমান বলেন, আমরা বিনা বেতনের অধ্যয়নের সুযোগ করে দিয়েছি। ছাত্রীদের কলেজ ড্রেস এবং বই কিনে দেওয়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পারছিনা। এমপি ভুক্ত না হওয়ায় কোন শিক্ষকের বেতন নেই। একজন মহৎ মানুষ প্রয়োজন। যে এই শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটাতে পারবে।
কলেজের নির্বাহী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আজহারুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে আবেদন ভর্তি ফ্রি আমি বহন করেছি। অধ্যয়নের জন্য বিনা বেতনের সুবিধা করে দিয়েছি। পাঠ্য বই ও কলেজ ড্রেস প্রয়োজন। নতুন কলেজ তহবিল না থাকায় তাদের কোনোভাবে সহযোগিতা করছে পারছি না। বিত্তবানদের সহযোগিতা করার আহ্বান করছি।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
–
“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


