অর্থের অভাবে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মাদারগঞ্জের মৃতশিল্পঅনাহারে কাটছে তাদের দিন কেউ তাদের সাম্যান্য সহযোগিতা করছে না – দৈনিক আজকের জামালপুর

অর্থের অভাবে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মাদারগঞ্জের মৃতশিল্পঅনাহারে কাটছে তাদের দিন কেউ তাদের সাম্যান্য সহযোগিতা করছে না – দৈনিক আজকের জামালপুর




অর্থের অভাবে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মাদারগঞ্জের মৃতশিল্পঅনাহারে কাটছে তাদের দিন কেউ তাদের সাম্যান্য সহযোগিতা করছে না – দৈনিক আজকের জামালপুর



এস,এম হুমায়ুন কবির : জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের ১টি গ্রামের নাম পাল পাড়া এই পালপাড়ার নামডাক দেশের বিভিন্ন জেলাতেও শুনা যায়। বর্তমানে পালপাড়া গ্রামটি বালিজুড়ী পৌর সভার প্রাণকেন্দ্র হিসাবেই বলাযায়। পালপাড়ায়
আগের দিনে গানবাজনা থাকত সকল পুজাঁ পারবনে কিন্তু এখন আর গানবাজনা শুনা যায় না। এখন তাদের পেটের ভাত জোগাড় করতে চোখের পানি নাকের পানি এক হয়ে যায়। এখন আর মাটির তৈরী জিনিস পত্র শেখের বেটিদের কাছে এক হামজা ধান নিয়ে মাটির কাঁসা বিক্রিকরতে পারেনা মন্ডলের বেটার বউ চাউল দিয়ে আর মাটির কলস নেয় না যার কারনে সেই পাড়াতে ঠিক ভাবে পুজাঁ পারবনে আনন্দ করাহয় না। এই জন্য তারা দিন দিন মাটির জিনিস তৈরী করা বাদ দিয়ে অন্যন্য পেসাতে চলে যাচ্ছে। কেউ হোটেলে কাজ করছে কেউ ভেনগাড়ী চালাচ্ছে কেউ আবার মানুষের বাড়ীতে দিন মজুরের কাজ করে জিবিকা চালাচ্ছে। বর্তমানে পালপাড়া গিয়েদেখা যায় যে তাদের থাকার ঘর নাই খাবার ত দুরের কথা। তাদের ছেলে মেয়েদের ভালো পোষাক দিতে পারেনা তার পরেও তারা তাদের ছেলেমেয়ে দেরকে স্কুলে পাঠায় প্রতিদিন। তাদের বড় আসা তার ছেলেমেয়রা বড় হয়ে লেখাপড়া শিক্ষে চাকুরী করবে । তখন আর তাদের সংসারে দুঃখ কষ্ট থাকবেনা। সেই আশাকে বুকেনিয়ে জিবনের সাথে যুদ্ধকরে সামানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। রতুল কুমার পাল বলেন দাদা মাটি আর আগের মত পাওয়া যায় না ।এখন মাটি টাকা দিয়ে কিনে আনতে হয়। মাটি কিনে আনিয়া অনেক রকমের জিনিস তৈরী করিয়া বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারিনা কারন বাজারে অনেক ধরনের প্লাস্টিকের জিনিস পত্র পাওয়া যায়। মানুষ আর মাটির তৈরী জিনিস কিনতে চায়না। সেই কারনে আমরা আর ভালো ভাবে চলতে পারিনা। অনেক আশা করে মাটি দিয়ে মনের মত করে মাটির নৌকা,মাটির পাতিল,হাড়ি ,কলস ,হাতী,ঘোড়া বানিয়ে তা আবার রোদে শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রং লাগিয়ে বাজারে নিয়ে বিক্রি করার জন্য কিন্তু বিক্রি করতে যখন না পায় তখন আর নিজের মনকে বুঝাইতে পারিনা। তখন মনে হয় এই পেসা বাদ দিয়ে অন্য কিছু করব। কিন্তু আবার মনে হয় বাব দাদার পেসা বাদ দিয়ে কি করিব। অনেক কষ্ট সর্য্য করার পরেও বাব দাদার ব্যবসা ধরে রেখেছি। রকুল কুমার পালের স্ত্রী দেবীরানী পাল বলেন দাদা আমরা জিবনে অনেক কষ্ট করে স্বামির সংসার করে খাচ্ছি অনেক সময় ঠিকমত পেটের ভাত জোগাড় করতে পারিনা আগের মত আর মাটির তৈরী জিনিস পত্র বিক্রি হয়না। তার পরেও ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করয়াইতে হবে আমরা যত কষ্টই করিনা কেন ছেলেমেয়ে দেরকে মানুষের মত মানুষ করতে চাই। দাদা আমরা অনেক দিন না খেয়ে থাকতে পারি কিন্ত ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা না খেয়ে থাকতে পারেনা। তখন তাদের খাবার যোগাড় করার জন্য বিভিন্ন মহাজনের কাছে চড়াসুদে টাকা নিয়ে সংসার চালাইতে হয়। আমি আমার স্বামির পাসা পাসি মাটি দিয়ে অনেক ধরনের জিনিস তৈরী করে বাজারে বিক্রি করিয়া ছেলে-মেয়ের লেখা পড়ার যোগন দিচ্ছি।এখন আমরা মাটিদিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস পত্র তৈরী করিয়া মজুদ করিতেছি সামানে জামাই মেলাসহ অনেক ধরনের মেলা হবে বিভিন্ন স্থানে সেই মেলায় আমাদের মাটির তৈরী করা সকল জিনিস বিক্রি হবে সেই জন্য জিনিস তৈরী করার জন্য ব্যস্ত সময় কাটাইতেছি। সরকার যদি আমাদের কিছু সহযোগিতা করে তাহলে আমরা এই মৃতশিল্পকে ধরে রাকতে পারব।


Explore More Districts