২৫ বছরের এ জার্নির কৃতিত্ব দুজন মানুষকে দিতে চান অমিতাভ। যাঁরা না থাকলে আজ এ জায়গায় থাকতেন না বলে মনে করেন এ নির্মাতা। জানান, শুরু থেকেই তাঁর পাশে ছায়া হয়ে ছিলেন দুই প্রযোজক—মাহজাবিন রেজা ও আসাদুজ্জামান। অমিতাভের কথায়, ‘সেই প্রথম থেকে এ দুজন মানুষ আমার পাশে আছে। যত ঝড়, সংগ্রাম এসেছে—তারা আমার পাশে না থাকলে এ রাস্তা পাড়ি দিতে পারতাম না।’
২৫ বছরের অভিজ্ঞতা তরুণদের মধ্যে ভাগ করে দিতে অমিতাভ শুরু করেছেন সিনেমার স্কুল ‘সিনেমা পাঠশালা’। চলতি বছর ১০ জন তরুণকে দিয়ে শুরু হয় প্রথম ব্যাচ। এখন দ্বিতীয় ব্যাচের ভর্তি চলছে। অমিতাভের স্বপ্ন এখন এটিকে ঘিরেই। এ নির্মাতা বলেন, ‘আমি তো প্রতিদিন শিখি, এখন নিউইয়র্ক ফিল্ম ইউনিভার্সিটিতে একটা কোর্স করছি। এর মধ্যে আমার নিজের সিনেমা পাঠশালার যাত্রা শুরু হলো। প্রথম ব্যাচের দশজন বের হচ্ছে, তাদের নিয়ে “সিনেমা পাঠশালা স্ক্রিপ্ট ল্যাব” থেকে এখন ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য তৈরি করব।’
২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত। এ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পান অমিতাভ। ২০১৯ সালে শুরু করেন রিকশা গার্ল’ ছবির কাজ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিনেমাটি মুক্তি পায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে। বড় পর্দায় কেন নিয়মিত দেখা যাচ্ছে না? অমিতাভ বললেন, ‘স্বপ্ন দেখি ভালো সিনেমা বানানোর। তবে স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেলে তো আর তা স্বপ্ন থাকে না। আর স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচেও না। আগামী বছর সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা আছে। ঈদে হইচইতে মুক্তি পাবে ওয়েব সিরিজ “বোহেমিয়ান ঘোড়া”।’