অবেশেষে লিটন মনোনায়ন পাওয়ায় শার্শার জনগনের প্রত্যাশা পুরুন

অবেশেষে লিটন মনোনায়ন পাওয়ায় শার্শার জনগনের প্রত্যাশা পুরুন

মো: আনিছুর রহমান,বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: শার্শার তরুন যুবক বৃদ্ধ সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের চাওয়া পাওয়ার প্রত্যাশা পুরুন হয়েছে। তাদের চাওয়া পাওয়া ছিল দলের স্বার্থে বিগত ১৭ টি বছর মামলা হামলা নির্যাতন সহ ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকারের নানা অত্যাচার জুলূম সহ্য করে দলের পাশে ছিল সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ও শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন। গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) কেন্দ্র থেকে পুনারায় যাচাই বাছাই শেষে মনোনায়ন পরিবর্তন করে লিটন কে মনোনায়ন দেওয়ায় এই জনপদের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এর আগে এ আসনটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল বিএনপির সাবেক এমপি ও সাবেক কেন্দ্রীয় বিএনপির দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল হাসান জহীর বলেন, ‘দল থেকে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি নুরুজ্জামান লিটনকে দেয়া হয়েছে। এরপর দল থেকে তাকে প্রতীক দেয়া হবে।’

এ বিষয়ে নুরুজ্জামান লিটন জানান, শার্শার গণমানুষের চাওয়ার কারণে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছিলেন। তাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছেন, এজন্য দলের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। এ ছাড়া কৃতজ্ঞতা জানান শার্শাবাসীর কাছে।

তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে বিএনপির হাতকে শক্তিশালি ও দেশ-মানুষের জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘চূড়ান্ত মনোনয়নের খবর জেনে রাতেই তিনি মফিকুল হাসান তৃপ্তির বাসায় যান। দেখা করে দোয়া নেন শার্শা আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্য নেতাদের কাছ থেকে। বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবাসন জনসভায় অংশ নিতে। নির্বাচনী এলাকায় ফিরে তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আবারও দলের প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন।’

এ দিকে মনোনয়ন পরিবর্তনের বিষয়ে মন্তব্য নিতে মফিকুল হাসান তৃপ্তির সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, গত এক মাস ধরে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়নের দাবিতে তৃপ্তির বিরোধিতা করে শার্শাতে বিােভ করে আসছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির বড় একটি অংশ। স্থানীয়দের অনেকের অভিযোগ ছিল বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ আমলে তৃণমূলসহ অনেকেই নির্যাতিত হয়েছে। এসব তৃণমূলকে মূল্যায়িত করা হয়নি। মফিকুল হাসান তৃপ্তি দলের দুঃসময়ে এলাকায় আসেননি। নেতাকর্মীদের খবর রাখেননি। তাই এ মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি তোলেন তারা। ওই সময় তৃনমুলের নেতা কর্মীদের পাশে ছিলেন নুরুজ্জামান লিটন। যে সকল নেতা কর্মীরা ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত এবং মামলা হামলার শিকার হয়েছেন তাদের পাশে থেকে তিনি খোজ খবর নেন। এবং চিকিৎসা ও মামলা থেকে ছাড় করানোর জন্য ও তিনি কাজ করেন। এতে করে শার্শার মানুষের প্রানের দাবি ছিল নুরুজ্জামান লিটনকে মনোনায়ন দেওয়ার জন্য।
স্থানীয় সুলতান আহমেদ জানান, যে সকল নেতা দুর্দিনে পাশে থাকে সেই রকম নেতা আমরা চাই। লিটন বিগত ১৭ টি বছর আমাদের পাশে ছিল ভবিষ্যাতেও থাকবে তাই তাকে আমরা এমপি বানাতে চাই।

অবশেষে দল সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া বিবেচনায় নিয়ে নুরুজ্জামান লিটনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়। নির্বাচনী টিকিটপ্রাপ্তির সময়ে নুরুজ্জামান লিটনের সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু ও সভাপতি আবুল হাসান জহীর।

Explore More Districts