১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে চার স্তরের নিরাপত্তার চাদরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পুরো এলাকা ঢাকা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ আসাদুজ্জামান।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এসপি মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, এই দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসবেন। এই লক্ষ্যে সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রেখেছি। পাশাপাশি এলাকায় যত জনবসতি আছে তাদের নাগরিকত্ব ফরম দিয়েছি। নতুন কোনো লোকের এলাকায় প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে৷ আমরা আশপাশের এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এলাকার অধিবাসীসহ সকলের সাথেই কথা বলেছি। তাদের প্রতি অনুরোধ রেখেছি বহিরাগত কেউ যদি আপনাদের এলাকায় অবস্থান করে আমাদেরকে অবহিত করার জন্য।
এসপি বলেন, বিজয় দিবসে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই তারপরেও আমরা সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি এবং আমরা আশা করছি অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের বিজয় দিবস উদ্যাপিত হবে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা জেলা পুলিশ প্রস্তত আছেন।
সেদিনের জন্য সড়ক ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো হয়েছে সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনার কথা জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ঢাকামুখী যারা উত্তরবঙ্গ থেকে আসবেন বা মানিকগঞ্জ থেকে আসবেন, আমি বিশেষত অনুরোধ করবো ভোর ৪ টার থেকেই এই এলাকায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা চেইঞ্জ করা হবে। সেদিনের সার্বিক নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বসাধারণ এদিকে আসবেন, ব্যাপক জমায়েত থাকবে সে কারণে, উত্তরবঙ্গ থেকে যে গাড়িগুলো আসবে, তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে চন্দ্রা হয়ে গাজীপুর হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করবেন এবং মানিকগঞ্জ থেকে যে গাড়িগুলো আসবে তাদের প্রতি ও আমাদের অনুরোধ থাকবে তারা যাতে নবীনগর হয়ে আশুলিয়া হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে এবং ঢাকা থেকে যারা মানিকগঞ্জ বা উত্তরবঙ্গে যে গাড়িগুলো যাবে এগুলো আমরা অনুরোধ করবো যে গাবতলি হয়ে বেড়িবাধ হয়ে, আশুলিয়া হয়ে অথবা উত্তরা হয়ে আশুলিয়া হয়ে তাদেরকে উত্তরবঙ্গে চলে যাওয়ার জন্য বা মানিকগঞ্জে আসলেও তারা আশুলিয়া হয়ে নবীনগর মোড় হয়ে এই রুটটি ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, পাশাপাশি আমরা নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ-টাওয়ার দিয়েছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। আমাদের চার স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে এই স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। আমরা সৌধ এলাকায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছি। সাভারের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে স্মৃতিসৌধ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।