জনগণের কাছে যেতে হলে বিএনপিকে অপরাজনীতির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে, আবার জনগণের কাছে যেতে হলে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যে অপরাজনীতি করেছে, মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেগুলোর জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
গতকাল দুপুরে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, সম্ভবত বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে। এজন্য হাঁটা শুরু করেছে। তারা তো আগে মিছিল করত। এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি যে পদযাত্রা শুরু করেছে সম্ভবত তারা কারো কাছ থেকে নকল করছে। তবে বিএনপি পদযাত্রা করুক আর যে যাত্রা–ই করুক না কেন, তাদের এই যাত্রায় জনগণ তো দূরের কথা, তাদের সাধারণ কর্মীরাও শামিল হয়নি।
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই নির্বাচন হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের সব দেশেই যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তার সরকারই তখন নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বিএনপির এই পদযাত্রা, কিংবা ক’দিন পরে ‘বসার যাত্রা’ করবে। যে যাত্রা–ই করুক না কেন কোনো লাভ হবে না।
আগের মতো বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তখন কোনো সমস্যায় পড়বে কিনা–সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেকোনো দল বা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, মানুষের সমর্থনের ওপর বিশ্বাস করে, তারা যদি নির্বাচন বর্জন করে তাহলে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। বিএনপি বিষয়টি সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারছে কিনা আমি জানি না। যদি তারা নির্বাচন বর্জন করে তারা মানুষ থেকে যে দূরে সরে গেছে, আরো যোজন যোজন দূরে সরে যাবে। তবে আমি আশা করি তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার পছন্দ করুক, সেটিই আমরা চাই।