অঘোষিত বাবার দায়িত্ব পালন করলেন এমপি

অঘোষিত বাবার দায়িত্ব পালন করলেন এমপি

অঘোষিত বাবার দায়িত্ব পালন করলেন এমপি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অসহায় হত দরিদ্র পরিবারের পরপর দুটি কন্যার বিয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে সুপাত্রের হাতে তুলে দিয়ে অঘোষিত বাবার দায়িত্ব পালন করলেন সিরাজগঞ্জ- ৩ তাড়াশ রায়গঞ্জ ও সলঙ্গা আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি।

বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে শুক্রবার (২জুন) রাতে পলাশী গ্রামে মেয়ে বাড়িতে। জানাগেছে, ২০১৯ সালের ২৫এপ্রিল তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে বোরো ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে জমিতেই মারা যান হতদরিদ্র কৃষি শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম।অসহায় দুই কন্যাকে নিয়ে মা রূপবান দিশেহারা। পরের দিন ঘটনাটি সংবাদে প্রকাশিত হলে নজরে আসে এমপি’র। ঘটনার ২দিন পর ২৭শে এপ্রিল স্ত্রী ডাক্তার হাফিজা সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ওই অসহায় হতদরিদ্রের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ান তিনি। ওইদিন এমপি আব্দুল আজিজ ও তার স্ত্রী ডাক্তার হাফিজা সুলতানা মেয়ে দুটির পড়াশোনা ও বিবাহের দায়িত্বর পাশাপাশি সংসারের যাবতীয় ব্যয় ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এবং দুই মাসের মধ্যে ঘড় নির্মাণের পাশাপাশি সমস্ত ফার্নিচার কিনে দেন। এরপর গত চার বছরে লেখাপড়া ব্যায়ের পাশাপাশি ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে এমপি আজিজ স্ব শরীরে হাজির হয়ে আর্থিক সহযোগীতা, ঈদ সামগ্রী বিতরণসহ সুখ দুঃখের পাশে থেকেছেন।

ইতিমধ্যে স্বপ্নার বিয়ের বিষয়ে এমপি আজিজের সাথে কথা বলেন তার মা রূপভান। তিনি স্বপ্নার বিয়ে দেখাশোনার জন্য দায়িত্ব দেন বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার উপর। স্বপ্নার (১৯) বিয়ে ঠিক হয় একই ইউনিয়নের সরাবাড়ি গ্রামের রওশন আলীর ছেলে আরিফের সাথে। বিয়ের অনুষ্ঠানের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করেন আজিজ। গত ২জুন রাত সাড়ে ৯টায় সময় তিনি চলে আসেন বিয়ে বাড়ীতে। সেখানে বিয়ে করতে আসা বারুহাস ইউনিয়নের সরবাড়ী গ্রামের মোঃ রওশন আলীর ছেলে মোঃ আরিফের হাতে স্বপ্নাকে তুলে দেন তিনি।

এ ব্যাপারে সিরাজুল ইসলামের বিধবা স্ত্রী রূপবান খাতুন বলেন, এমপি আজিজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তিনি আরো বলেন, আমার ঘর ছিলনা, খাবার ছিলনা, এতো দুরাবস্থা ছিল তা প্রকাশ করার মতো নয়। এমপি সাহেব খুব তাড়াতাড়ি আমার সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ স্বপ্নার বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে কন্যা দায় থেকে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আল্লাহর কাছে দোয়া করি, উনি যেন ভালো থাকেন। এভাবেই আমার মত অসহায় হত দরিদ্র মানুষের সেবা করে যেতে পারেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম, বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সনাতন দাশ,ওয়ার্ড আ’লীগের সম্পাদক মোঃ আব্দুস সামাদ, ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য: সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ে শাবনুরের বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব বহন করেছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য এমপি আজিজ। পরপর দুটি অসহায় হত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে বিয়ে দিয়ে এলাকাবাসীর নিকট আস্তা ও মানবতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

টিএ

Explore More Districts