দিনাজপুরে করোনায় নতুন শনাক্ত ৩২ – দিনাজপুর নিউজ

দিনাজপুরে করোনায় নতুন শনাক্ত ৩২ – দিনাজপুর নিউজ

দিনাজপুর সংবাদাতাঃ করোনাভাইরাস সংক্রমনে দিনাজপুর জেলায় নতুন ৩২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬৫৬৫ জন আর জেলায় সক্রিয় রোগী ৮০৭ জন এর মধ্যে সদরে ৪২৮ জন রয়েছে। শনাক্তের হার ২৩.০২ শতাংশ। এ দিকে সদরে ৯৯টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১৮ জন করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে। সদরে সংক্রমনের হার ২৭.২৭ শতাংশ। এ যাবত জেলায় মৃতের মোট সংখ্যা ২৯৬ জন এর মধ্যে সদরে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা ১৪০ জন।

দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী জানান, জেলায় ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৩২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮, বিরলে ২, বীরগঞ্জে ১, চিরিরবন্দরে ২, নবাবগঞ্জে ১ ও পার্বতীপুর উপজেলায় ৮ জন করোনা কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে।

দিনাজপুরে এ যাবত সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৫৬৫ জন এর মধ্যে সদর উপজেলায় সংক্রমনের সংখ্যা ৯১৬২ জন, বিরল ১০৩৭, বিরামপুর ৬৬৮, বীরগঞ্জ ৬০৮, বোঁচাগঞ্জ ৭১৯, চিরিরবন্দর ৬৪২, ফুলবাড়ী ৭৭৪, ঘোড়াঘাট ১৩২, হাকিমপুর ৩১২, কাহারোল ৩৭০, খানাসামা ৪৪১, নবাবগঞ্জ ৩৪৩ ও পার্বতীপুর ১৩৫৭ জন ১৩টি উপজেলায়।

গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৬৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৫৪৬৩ জন।

বর্তমানে ৭৯২ জন হোম আইসোলেশনে এবং জেলায় কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ও করোনা উপসর্গ সম্বলিত রোগী মোট হাসপাতালে ভর্তি ৩৯ জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় দিনাজপুর থেকে প্রেরিত নমুনা সংগ্রহ ৫৮টি। গত ২৪ ঘন্টায় এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ আরটি পিসিআর ল্যাব থেকে ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষায় মধ্যে ৩২টি করোনা কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে এবং অদ্যাবধি ল্যাবটেরিতে প্রেরিত নমুনার সংখ্যা ৯৫৬৩১টি আর অদ্যাবধি মোট নমুনার ফলাফল হয়েছে ৯০৯৫৭টি।

২৪ ঘন্টায় কোয়ারেনটাইন এর সংখ্যা ১২৫ জন মোট কোয়ারেন্টাইন গ্রহন করেছে ৬৭৮১২ জন। ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র পেয়েছে ২৭০ জন মোট কোয়ারেন্টাইন হতে ছাড়পত্র ৬৪৭৪২ জন। বর্তমানে দিনাজপুরে আক্রান্ত অবস্থায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৮০৭ জন এবং শনাক্তের হার ২৩.০২%

বর্তমানে দিনাজপুর জেলা রেড জোনে অবস্থান করছে। জেলায় গত কয়েকদিনে সংক্রমনের হার স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও বর্তমানে সংক্রমনের হার কমতে শুরু করেছে। সরকারি স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালন করলে সংক্রমনের হার দিন দিন কমবে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

Explore More Districts