কে এই মাদক সম্রাজ্ঞী রুনা ও কারিমা ? তাদের খুটির জোর কোথায়? – Daily Gazipur Online

ডেইলি গাজীপুর প্রতিবেদক : গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৬নং ওয়ার্ড হিমারদিঘী কেরানিরটেক বস্তিতে কে এই মাদক সম্রাজ্ঞী রুনা ও কারিমা,তাদের খুটির জোর কোথায়। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকায় নারী, পুরুষসহ শিশু কিশোরদের মাঝে। এলাকাবাসী বলছেন, দিবা রাত্রী ২৪ ঘন্টা প্রকাশ্যে ইয়াবা,গাজা, ফেনসিডিল ও হিরোইন বিক্রি করছে। ফলে, প্রতিনিয়ত দেখা মিলছে বহিরাগত তরুণ যুবক ও মাঝ বয়সি মাদকসেবন কারীদের।
মাদক ব্যবসা করে বর্তমান কয়েক কোটি টাকার মালিক এবং তার বাবা কাদির মিয়া এক সময়ের ঢাকাতে রিক্সা চালাতেন। রুনার বিয়ের পর রুনা স্বামী সুমন মিয়া গোপনে শুরু করে ফেনসিডিল ব্যবসা সে থেকেই তারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ল পুরো পরিবার।এখন শুধু রুনা, কারিমা নয় তার আপন বড় ভাই মনির হোসেন, আমির হোসেন, দুই ভাইয়ের বউ, বাবা আঃ কাদির মিয়া রুনার স্বামী সুমন সহ পরিবারের সবাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। রুনা, কারিমা তাদের বিরুদ্ধে টঙ্গী সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। টঙ্গীর কেরানিরটেক বস্তিতে সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় যে, এই মাদক ব্যবসায়ীগণ একই পরিবারের সদস্য হওয়ার এরা টঙ্গীতে বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত এবং মাদকের গড ফাদার হিসাবেও খুব পরিচিত। রুনা ও কারিমার নেতৃত্বে রয়েছে একাধিক মাদক বিক্রেতা, আরো জানা যায় যে কারিমা, রুনা, কাদির এর নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার পিস ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাজা খুচরা বিক্রি করে থাকে তারা। ইতিমধ্যে মাদক ব্যবসা করে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অন্তত পাঁচটি বাড়ি এবং নামে বেনামে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। টঙ্গী বিসিক সোনালী ব্যাংকে প্রায় এক কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে, বৈধ কোন আয়ের উৎস না দেখাতে পারায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু ব্যক্তি সাংবাদিকদের কে জানান রুনা কারিমা ও মনিরের নামে বেনামে রয়েছে হোটেল ও ইজ্জতপুরে কয়েক বিঘা সম্পত্তি। এ বিষয়ে সাংবাদিক অনুসন্ধান করতে গেলে মাদক সম্রাঞ্জী কারিমা, রুনা ও কাদির, মনির মনিরের বউ মর্জিনা সাংবাদিককে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।
অনুসন্ধানের গিয়ে জানা যায় এই মাদক ব্যবসায়ী গত ২০ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে টঙ্গী থেকে মাদক সম্রাঞ্জী রুনা ও কারিমার বড় ভাই আমির হোসেনকে ৪৯.৯ কেজি গাঁজা সহ র‍্যাব- ১ এর হাতে আটক হন।
গত ১৫ই জুন ২০২৪ এ গাড়ীর ড্রাইভার রিদয় কে টঙ্গী রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য চাপাতি দিয়ে কোপানো হয় এ নিয়ে টঙ্গী থানায় মামলা হলে রুনা ছেলে রিফাত সহ ৩জন কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বাকিরা আগাম জামিন নেন। এ বিষয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের একটাই দাবি মাদক সম্রাঞ্জী রুনা ও কারিমার পরিবার টঙ্গীতে সব থেকে বেশি মাদক ক্রয় বিক্রয় করছেয় এবং যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
এলেকাবাসীর মনে করেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালণ করে আসছে। প্রশাসনে নিকট জোর দাবি রুনা ও কারিমার পরিবার ও তাদের শেল্টার দাতাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। রুনার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা মুঠোফোন রিসিভ করে নাই।
রুনা ও কারিমার মাদক ব্যবসা নিয়ে নিউজ প্রকাশ করলে সাংবাদিক মোঃ নুরুজ্জামান শেখকে মুঠো ফোনে হত্যার হুমকি দেয় মাদক ব্যবসায়ী রুনা ও কারিমার বড়ভাই মনির। এই বিষয়ে টঙ্গী পর্ব থানার ৩০/৬/২০২৪/ইং তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এই বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান।