
ওয়াশিংটন, ১৫ অক্টোবর – ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস যদি স্বেচ্ছায় অস্ত্র সমর্পণ না করে, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিরস্ত্রিকরণে পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, সেই পদক্ষেপ দ্রুত এবং সম্ভবত ভয়াবহ হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ট্রাম্প এই প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা তাদের (হামাস) বলেছি, আমরা চাই যে তারা অস্ত্র সমর্পণ করুক এবং তারা তা করবে। যদি তারা অস্ত্র সমর্পণ না করে, তাহলে আমরা তাদের নিরস্ত্র করব। সেক্ষেত্রে এটি ঘটবে দ্রুত এবং সম্ভবত ভয়াবহভাবে। অর্থাৎ, তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতেই হবে।
ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে দাবি করেন যে তিনি সরাসরি হামাস নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে অবশ্য তিনি সংশোধন করে জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং তাঁর জামাতা জ্যারেড কুশনারের মাধ্যমে হামাস নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ট্রাম্পের অনুমতিক্রমে গত সপ্তাহে মিসরের শারম আল শেখ শহরে হামাসের বর্তমান শীর্ষ নেতা ও মুখপাত্র খলিল আল হায়ারের সঙ্গে উইটকফ এবং কুশনার বৈঠক করেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অন্যতম শর্ত হলো হামাসের অস্ত্র সমর্পণ। ইসরায়েল ও হামাস উভয়ে সেই পরিকল্পনায় সম্মতি জানানোর পর গত ১০ অক্টোবর শুক্রবার থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যদিও অতীতে হামাস একাধিকবার অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে, তবে এবার তারা সরাসরি এটি প্রত্যাখ্যান করেনি।
হামাস স্বেচ্ছায় অস্ত্র সমর্পণ না করলে ট্রাম্প প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি তা আপনাকে ব্যাখ্যা করতে বাধ্য নই। তবে এটুকু বলতে পারি, তারা জানে যে আমি কোনো খেলা খেলছি না।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের অতর্কিত হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হন। এর জবাবে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গত দুই বছরে গাজায় ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার আহত হয়েছেন।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
এনএন/ ১৫ অক্টোবর ২০২৫



